তথ্যপ্রযুক্তিপ্রধান শিরোনাম
চালু হলো পাঠাও হেলথ
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ ডিজিটাল মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা দিতে চালু হলো ‘পাঠাও হেলথ’। বেশকিছু নতুন ধরনের টুল এবং স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কিত তথ্য নিয়ে এই সেবা চালু করেছে রাইড শেয়ারিং ভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম পাঠাও। বুধবার (১৩ মে) আনুষ্ঠানিকভাবে এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসেবে এই সেবার উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
পাঠাওয়ের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হুসাইন এম ইলিয়াস, একসেস-টু-ইনফরমেশনের (এটুআই) পলিসি অ্যাডভাইজার আনির চৌধুরী, ডিজিটাল হেলথকেয়ার সলিউশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাজিদ রহমান, মায়ার মেডিকেল টিম লিড ডা. তানজিনা শারমিন, প্রাভা হেলথের প্রতিষ্ঠাতা, চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সিলভানা কাদের সিনহা, পাঠাওয়ের প্রধান অর্থ নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহিম আহমেদ এবং পাঠাওয়ের প্রোডাক্ট টিমের ভাইস প্রেসিডেন্ট আহমেদ ফাহাদ উপস্থিত ছিলেন।
কোভিড-১৯ এর এই সংকটময় সময়ে মানুষ যেন স্বাস্থ্য বিষয়ক সঠিক তথ্য পায় সে লক্ষেই এই সেবাটি চালু করা হয়েছে বলে জানায় পাঠাও। আর এতে পাঠাও কাজ করছে ডিজিটাল হেলথকেয়ার সলিউশন, মায়া এবং প্রাভা হেলথের মতো কিছু পার্টনার স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে।
এই সেবার আওতায় ডিজিটাল হেলথ কেয়ার সলিউশনের সাহায্যে ব্যবহারকারী কোভিড-১৯ এর লক্ষণ যাচাই করার সুবিধা পাবেন। একইসঙ্গে ‘মায়া’র মাধ্যমে শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য, ‘প্রাভা হেলথ’ দ্বারা পরিচালিত ভিডিও কনসালটেশন এবং মেডিকেল টেস্টের সুবিধা এবং পাঠাও ও ১০০এরও বেশি ফার্মেসি থেকে অন-ডিমান্ড ওষুধ সরবরাহের সুবিধা পাওয়া যাবে এই স্বাস্থ্যসেবার আওতায়।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা গেম চেঞ্জার হিসেবে আবির্ভূত হবে। টেলিমেডিসিন খরচ ও ঝুঁকি কমায়। ইতোমধ্যেই প্রভা, সহজ ও পাঠাওয়ের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো টেলিমেডিসিন সেবা চালু করছে। এটা শুধু প্রযুক্তির ব্যবহারই বাড়াচ্ছে না, ঝুঁকি ও খরচ কমাবে। বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে সেবা পৌঁছে দিতে উৎসাহিত করবে। সরকার-বেসরকারি উদ্যোগের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে অন্যান্য স্টার্টআপরাও পাঠাওয়ের মতো যুক্ত হবে।
প্রতিটি জায়গায় প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে উল্লেখ করে খাবার ও স্বাস্থ্যের পর শিক্ষাসহ অনেক মৌলিক সেবায় পাঠাও যুক্ত হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন প্রতিমন্ত্রী। পাঠাওয়ের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হুসাইন এম ইলিয়াস বলেন, আমাদের সহযোগী স্বাস্থ্য সংস্থা এবং সরকারের সহায়তায়, আমরা প্রযুক্তির শক্তি ব্যবহার করে পাঠাওয়ের ডিজিটাল সার্ভিস মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে আশাবাদী। এতে করে এই কঠিন সময়ে মানুষ স্বাস্থ্য সম্পর্কিত তথ্য এবং সমাধান পাবে নিমিষেই।
/এন এইচ