দেশজুড়ে
চার স্কুলছাত্রকে অপহরণ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসির, ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: সেন্ট মার্টিন ভ্রমণের লোভ দেখিয়ে ৪ স্কুলশিক্ষার্থীকে অপহরণ করেছে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসি গোষ্ঠী। পরে অপহৃত শিক্ষার্থীদের পরিবারের কাছে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে চক্রটি।
অপহৃত চারজনই কক্সবাজারের উখিয়ার সোনারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। যাদের অপহরণ করা হয়েছে তারা হলো, রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের পেঁচারদ্বীপের মংলাপাড়া এলাকার মোহাম্মদ কায়সার, মিজানুর রহমান নয়ন, জাহেদুল ইসলাম ও মিজানুর রহমান। এদের মধ্যে জাহেদুল সোনারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। বাকিরা অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
অপহরণের ঘটনার জন্য এসব শিক্ষার্থীর স্বজনরা জাহাঙ্গীর ও ইব্রাহীম নামে দুই রোহিঙ্গাকে অভিযুক্ত করছেন। অভিযুক্ত ২ জন টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ২৬ নম্বর ব্লকের বাসিন্দা এবং পেঁচারদ্বীপের বাতিঘর নামে একটি কটেজের কর্মচারী।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আব্দুল আলিম জানিয়েছেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার পর থেকেই পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।
এদিকে, রামু থানার ওসি আনোয়ারুল হোসাইন জানান, শিক্ষার্থীদের বাড়ি রামু হলেও ঘটনাস্থল টেকনাফ। টেকনাফ থানার পুলিশকে সাথে নিয়েই অভিযান চালানো হচ্ছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, পেচারদ্বীপের বাতিঘর নামে একটি কটেজের কর্মচারী জাহাঙ্গীর আলম ও মো. ইব্রাহীমের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে চার স্কুলছাত্রের। সে সুবাদে গত ৭ই ডিসেম্বর সকাল ১০টার দিকে চারজনকে সেন্টমার্টিন বেড়াতে নেয়ার কথা বলে টেকনাফের হোয়াইক্যং এলাকায় নিয়ে যান জাহাঙ্গীর ও ইব্রাহীম। বেড়াতে যাওয়ার পর থেকে ওই চারজনের খোঁজ মিলছে না। পরে ৮ই ডিসেম্বর রাতে স্বজনদের কাছে বিভিন্ন অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন করে তাদের মুক্তিপণ হিসেবে ২০ লাখ টাকা দাবি করা হচ্ছে। আর তা না পেলে মরদেহ ফেরত পাঠানোর হুমকি দেয়া হচ্ছে।