দেশজুড়ে
চাঁদা না দেয়ায় ব্যবসায়ীদের হয়রানির অভিযোগ ইউএনওর বিরুদ্ধে
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ম্যাগাজিন প্রকাশের নামে এক ব্যবসায়ীর কাছে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ ওঠেছে বাহুবল ইউএনও আয়েশা হকের বিরুদ্ধে। মোটা অংকের ওই চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় ওই ব্যবসায়ীর প্রতিষ্ঠানে হয়রানিমূলক অভিযান চালিয়ে জরিমানা আদায় করেছে প্রশাসন। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন উপজেলার বিভিন্ন স্তরের ব্যবসায়ীরা।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বাহুবল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আয়েশা হক বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছে চাঁদা দাবি করেন। এর মধ্যে একজন বাহুবল উপজেলা ব্রিকস ফিল্ড সমিতির সভাপতি হাজী মো. দুলাল মিয়া। তার কাছে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন ইউএনও আয়েশা হক।
দুলাল মিয়ার অভিযোগ, বাহুবল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আয়েশা হক বিভিন্ন সময় এলাকার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করে থাকেন। ১২/১৩ দিন আগে ব্যবসায়ী নেতা আছকর আলীর মোবাইল দিয়ে দুলাল মিয়ার সঙ্গে কথা বলেন ইউএনও। এ সময় তিনি বিজয় দিবস ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক ম্যাগাজিন প্রকাশের জন্য তার কাছে চাঁদা দাবি করেন। টাকা না দেয়ায় গত দুদিন ধরে ইউএনও আয়েশা হক তার ব্যবহৃত সরকারি মোবাইল ফোন দিয়ে দুলাল মিয়ার কাছে বারবার ফোন করেন। দুলাল মিয়া তার (ইউএনও) ফোন রিসিভ না করায় তিনি সিওকে দিয়েও একাধিকবার ফোন করিয়েছেন। কিন্তু এত টাকা দেয়ার সামর্থ্য না থাকায় দুলাল মিয়া তাদের ফোন রিসিভ করেননি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গতকাল রোববার বিকালে তিনি আমার ইটভাটা ‘সামিম ব্রিকস’সহ বিভিন্ন ব্রিকস ফিল্ডে অভিযান চালান এবং মোটা অংকের টাকা জরিমানা করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে শ্রমিক নেতা আছকর আলী বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনার জন্য আমার মোবাইল দিয়ে ইউএনও দুলাল মিয়ার কাছে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা চান।
বাহুবল উপজেলা ব্রিকস ফিল্ড সমিতির সভাপতি হাজী মো. দুলাল মিয়া বলেন, ‘আমার প্রতিষ্ঠানের সব কাগজপত্র ঠিক থাকার পরও ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। এছাড়াও আমার আত্মীয়-স্বজনদের ইটভাটায় মোটা অংকের টাকা জরিমানা করেন।’ এ ব্যাপারে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করবেন বলেও জানান তিনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আয়েশা হক জানান, ‘হবিগঞ্জের মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধোদের নিয়ে একটি বিশেষ ম্যাগাজিন প্রকাশ করার জন্য আমরা বিজ্ঞাপন বাবদ টাকা চেয়েছি। কোনো ধরনের চাঁদা দাবি করা হয়নি। এছাড়া উন্মুক্ত সভার মাধ্যমে এই টাকা চাওয়া হয়েছিল।’ এছাড়া গত দুদিন ব্যবসায়ী দুলালের কাছে একাধিক ফোন করার বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘আমি বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানের দাওয়াত দেয়ার জন্য ফোন করছিলাম। সব সময় টাকার জন্য ফোন করেছি সেটা ঠিক নয়।’
/এএস