দেশজুড়ে
চাঁদপুরে পরিবহন শ্রমিকদের বিক্ষোভ-ভাঙচুরে বাস চলাচল বন্ধ, বিপাকে যাত্রীরা
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ চাঁদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন বাসচালক মিজান মোল্লা। চিকিৎসায় শ্রমিক ইউনিয়নের অবহেলাজনিত মৃত্যু এবং পৌর বাস টার্মিনালের অবকাঠামোগত সমস্যা নিরসনে বিক্ষোভ ও ঢাকা, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লাসহ কয়েকটি রুটে বাস চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাস শ্রমিকরা।
সোমবার সকাল থেকে এ বিক্ষোভ চালু করে শ্রমিকরা। পরে বেলা এগারোটা থেকে সকল রুটে বাস চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তারা। বিক্ষোভকারীরা এসময় সড়ক অবরোধ ও শ্রমিক ইউনিয়নের অফিসের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে।
রোববার ভোর ছয়টায় চাঁদপুর সদর উপজেলার চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক সড়কের চানখার দোকান এলাকায় চাঁদপুর থেকে ঢাকাগামী পদ্মা এক্সপ্রেস বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাছে মুখোমুখি আঘাত করে।
এসময় বাসে থাকা সুমনা নামের একশিশু নিহত হয় এবং গুরুতর আহত হয় আরও পাঁচজন। আহতদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাসচালক মিজান মোল্লাকে দ্রুত ঢাকায় রেফার করেন চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক। পরে রাতেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তাকে ঢাকায় রেফার করা হলেও উন্নত চিকিৎসার জন্য শ্রমিক ইউনিয়ন এর পক্ষ থেকে কোন প্রকার সাহায্য সহযোগিতা না করায় ক্ষুব্ধ হয়ে পড়ে জেলায় কর্মরত বাস শ্রমিকরা।
পরে সোমবার সকাল থেকেই তারা বিক্ষোভ ও শ্রমিক ইউনিয়নের অফিস ভাঙচুর করে। ক’জন শ্রমিক জানায়, পৌর বাস টার্মিনালের অবকাঠামোগত উন্নতি ও শ্রমিকের বিপদে পাশে দাঁড়ানোর দাবি নিয়ে সকাল থেকেই বিক্ষোভ চালিয়ে যান তারা।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ জানান, বিক্ষোভকারীদের শান্ত করতে এগিয়ে আসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং তাদেরকে একটি সুষ্ঠু সমাধানের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের পরামর্শ দেন এ কর্মকর্তা।
প্রসঙ্গত, রোববার ওই সড়ক দুর্ঘটনায় অন্যান্য গুরুতর আহত ব্যক্তিরা হলেন নিহত শিশু সুমনার বাবা মোঃ সুমন (৩৭) ও মা শাম্মী (৩৩), ইউনুস (৫০), মাহবুব (২৩)।
বাস চলাচল বন্ধ থাকায় এসব রুটের যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েছে।
/ আর এইচ এস