আমদানি-রপ্তানীশিল্প-বানিজ্য

চট্রগ্রাম বন্দরে পণ্য খালাশ করছেন না আমদানিকারকরা

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: বিশ্বজুড়ের করোনার প্রভাবে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি করা ফলমূল, শিশুখাদ্য, ওষুধ ও ওষুধ তৈরির কাঁচামালের কন্টেইনার খালাস করছেন না আমদানিকারকরা। এমন পরিস্থিতিতে পণ্যের দাম বাড়ার পাশাপাশি বাজারে সংকট দেখা দেয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে ভোগ্যপণ্য, ফলমূল, শিশুখাদ্য, ওষুধ ও ওষুধের কাঁচামাল ও চিকিৎসা সামগ্রী আমদানি হয় রেফার বা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কনটেইনারে। কিন্তু এ ধরনের দুই হাজারের বেশি কনটেইনার রাখার সুযোগ নেই বন্দরে। এই মুহূর্তে রেফার কন্টেইনার রয়েছে প্রায় ২ হাজার ৬শ’র বেশি। এতে বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে।

চট্টগ্রাম ফল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, আমরা পন্য আমদানির ডকুমেন্ট গুলো পাই নাই তাই কনটেইনার গুলো বন্দরেই রয়েগেছে। আমরা সাপ্লাইয়ারদের বার বার বলেছি আমাদের বন্দরে জায়গা নাই আপনারা ডকুমেন্ট সরবরাহ করে বন্দর থেকে কনটেইনার গুলো নিয়েযান ।

আমদানি করা পণ্যে জীবাণু আছে কি-না তা জানতে কোয়ারেন্টিন ও রেডিয়েশন পরীক্ষা করতে হয়। সরকারি ছুটির কারণে উপস্থিতি কম থাকলেও স্বয়ংক্রিয়ভাবে রেডিয়েশন পরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে কন্টেইনার খালাস কম হওয়ায় পণ্যের দাম বাড়ার পাশাপাশি বাজারে সংকট দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বন্দরের উপ-পরিচালক।

চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের উপ-পরিচালক ডা. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বুলবুল জানান, কনটেইনার জট যদি হয়ে থাকে সেটা অন্য কারণে হতে পারে, আমাদের কাছে আবেদন করার সাথে সাথে আমরা আইনগত সব ব্যবস্থা গ্রহন করছি।

বর্তমান পরিস্থিতিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে বন্দর কর্তৃপক্ষ ২৪ ঘন্টা কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

এদিকে অফিস ও কলকারখানা বন্ধ থাকায় বন্দর থেকে পণ্য ডেলিভারি কমেছে প্রায় ৭৫ শতাংশ। ফলে সৃষ্টি হয়েছে কন্টেইনার জট।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close