দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম

চট্টগ্রাম বন্দরে ২০ লাখ টাকার পণ্য আটক

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: আমদানির মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে শুল্কফাঁকির চেষ্টা করায় কনটেইনারভর্তি চালান আটক করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস।

আমদানির ঘোষণায় বলা হয়েছিল, তৈরি পোশাক কারখানার জন্য ৮ হাজার ৪০০ কেজি কম্বলের কাপড় আসবে। তবে আনার পর বন্দরে কায়িক পরীক্ষায় দেখা গেছে কম্বল, জায়নামাজ, প্রসাধনী সামগ্রী ও খাদ্যদ্রব্যসহ প্রায় ৭৫ প্রকারের পণ্য এসেছে।

১৭ জুলাই এ চালানটি খালাসের জন্য বিল অব অ্যান্ট্রি দাখিল করে মনোনীত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট প্রত্যয় ইন্টারন্যাশনাল।

শনিবার (২০ নভেম্বর) কাস্টমস কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত ৮ ফেব্রুয়ারি জাহাজযোগে মরিশাসের পোর্ট লুইস বন্দর থেকে কনটেইনারটি চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। শতভাগ শুল্কমুক্ত সুবিধায় চালানটি পাবনার রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকার এমজিএল কোম্পানি আমদানি করে।

এদিকে কাস্টমস কর্মকর্তারা চালানটি নিয়ে গোপন তথ্য থাকায় খালাস প্রক্রিয়া স্থগিত করেন। বন্দরের জেআর ইয়ার্ডে পণ্যবাহী কনটেইনারটি কাস্টম হাউসের অডিট, ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখার একটি টিম বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে চালানটি শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করেছে।

এ সময় পণ্য বের করার পর, ২৩৮টির মধ্যে প্রায় প্রতিটি প্যাকেজের গায়ে প্রেরক-প্রাপকের নাম, ঠিকানা এবং মোবাইল নম্বর কাপড় দিয়ে সেলাই করা অবস্থায় রয়েছে। কন্টেইনারে প্রায় ১ হাজার ৫৫১ টি কম্বল, ৪৮৩ টি জায়নামাজ, ১২০ কেজি বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনী এবং ২০০ কেজি বিভিন্ন প্রকার ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীসহ মোট ৭ হাজার ৫৭০ কেজি পণ্য পাওয়া গেছে।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের অডিট, ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ শাখার কর্মকর্তা মো. সরফুদ্দিন মিয়া জানিয়েছেন, এসব শুল্কায়নযোগ্য পণ্যের আনুমানিক মূল্য ২০ লাখ টাকা এবং শুল্কমুক্ত সুবিধার অপব্যবহার করে আমদানির মাধ্যমে আনুমানিক ১৭ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছিল। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close