আমদানি-রপ্তানীশিল্প-বানিজ্য

চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার যানজটে আমদানি-রপ্তানি ব্যাহত

জট নিয়ন্ত্রণে শুল্কারোপের চিন্তা-ভাবনা

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ কঠোর লকডাউনে শিল্প-কারখানা বন্ধ থাকায় এবং ডেলিভারির ধীর গতির কারণে চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনারের জট সৃষ্টি হয়েছে। এতে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হুমকির মুখে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নির্দেশনা অনুযায়ী আমদানিকৃত কন্টেইনার সরাসরি অফডকে পাঠিয়েও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ডের পাশাপাশি অফডকগুলোতেও এখনই কন্টেইনারের স্তূপ জমতে শুরু করেছে। এ অবস্থায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শুল্কারোপের চিন্তা-ভাবনা করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

চার দিন পর্যন্ত বিনা মাশুলে কন্টেইনার খালাস নিতে পারেন আমদানিকারকরা। এর বেশি সময় হলেই জরিমানা গুনতে হয়। এ অবস্থায় ডেলিভারিতে গতি আনতে কঠোর হতে যাচ্ছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

চট্টগ্রাম বন্দরের জট কমাতে ২৬ জুলাই থেকে আমদানিকৃত পণ্যবাহী কন্টেইনার সরাসরি ১৯টি অফডকে খালাসের সিদ্ধান্ত দেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। সে অনুযায়ী গত ৮ দিনে বন্দর থেকে অফডকে কন্টেইনার পাঠানো হয়েছে ৮ হাজার ৮৫০টি। কিন্তু তার বিপরীতে বন্দরে বিভিন্ন জাহাজ থেকে নামানো কন্টেইনারের সংখ্যা প্রায় ৩৫ হাজার। এ অবস্থায় বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ডে এখন কন্টেইনারের স্তূপ জমে গেছে।

এ নিয়ে কথা বলেন সাইফ মেরিটাইম লিমিটেডের চিফ অপারেশনাল অফিসার আবদুল্লাহ জহির। তিনি বলেন, যদিও বন্দর থেকে ডিপোতে নিয়ে যাচ্ছে কন্টেইনার। কিন্তু এক সময় দেখা যাবে ডিপোতেও জায়গা হবে না। এর জন্য একমাত্র সমাধান হওয়া উচিত ডেলিভারি হওয়া।

এমনিতেই নানা জটিলতায় গত কয়েক মাস ধরে ডেলিভারিতে ধীর গতি চলে আসছিল। এরমধ্যে কঠোর লকডাউনে শিল্প-কারখানা বন্ধ থাকায় তা মারাত্মক আকার ধারণ করে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, ডেলিভারিটা তরান্বিত করতে হবে। আমাদের ফ্রি টাইমের মধ্যে ডেলিভারি নিতে হবে। অন্যথায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কোনো কঠোর পদক্ষেপের যাবে কিনা, সেটা সময় বলে দেবে।

স্বাভাবিক সময়ে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে প্রতিদিন গড়ে সাড়ে চার হাজারের বেশি কন্টেইনার ডেলিভারি হলেও লকডাউনে অনেকটা কমে গেছে।

সবশেষ তথ্য অনুযায়ী চট্টগ্রাম বন্দর ও বন্দরের বর্হিনোঙরে ১০০টি জাহাজ রয়েছে। এর মধ্যে কন্টেইনারবাহী জাহাজ রয়েছে ২৩টি।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close