দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম
চট্টগ্রামে চার ক্লাবে র্যাব-পুলিশের অভিযান
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: চট্টগ্রামে চার ক্লাবে অভিযান চালিয়েছে র্যাব ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা। এর মধ্যে তিনটি ক্লাবে অভিযান চালিয়ে র্যাব জানিয়েছে, এসব ক্লাবে জুয়ার আসর বসতো। তবে অভিযানে কাউকে আটক করা যায়নি। তিনটি ক্লাব থেকে জুয়া খেলার সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে র্যাব। আজ শনিবার সন্ধ্যা থেকে রাত সাড়ে নয়টা পর্যন্ত নগরের সদরঘাট আইস ফ্যাক্টরি রোড এলাকায় অবস্থিত মুক্তিযোদ্ধা ক্রীড়া সংসদ চট্টগ্রাম, সদরঘাট খাদ্যগুদাম সংলগ্ন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও হালিশহরে আবাহনী লিমিটেড ক্লাবে অভিযান চালানো হয়।
এ দিকে রাতে নগরের আসকার দিঘী এলাকায় ফ্রেন্ডস ক্লাবে অভিযান চালায় পুলিশ। নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালি অঞ্চল) নোবেল চাকমা জানান, ক্লাবটিতে তাস ছাড়া কিছু পাওয়া যায়নি।
অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিজাম উদ্দিন আহমেদ তল্লাশি শেষে রাতে সাংবাদিকদের বলেন, ক্লাবগুলোতে জুয়া খেলা চলত, এটা নিশ্চিত হওয়া গেছে। জুয়া খেলার চিপ, কার্ড, খাতাপত্র পাওয়া গেছে। কিছু টেবিল পাওয়া গেছে জুয়ার আসরের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। র্যাবের অভিযানের কথা টের পেয়ে সেখান থেকে সবাই চলে যায়। ক্লাবটি পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্বে আছেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য হারুন-আর-রসিদ। আর কমিটির সাধারণ সম্পাদক নগর যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান।
রাতে সেখানে গিয়ে দেখা গেছে, ক্লাবের ভেতর থেকে দুটি ধারালো অস্ত্র, জুয়া খেলার ক্যাসিনো, খাতাপত্র উদ্ধার করে টেবিলে রেখেছে র্যাব সদস্যরা। ক্লাবটিতে পাঁচটি কক্ষ রয়েছে। র্যাব আসার খবর পেয়ে মেঝেতে থাকা কার্পেট তুলে সেখানে পানি ঢেলে রাখা হয়েছে। প্রতিটি কক্ষের ভেতর থাকা টেবিলগুলো বাইরে রাখা হয়েছে। ক্লাবের নিরাপত্তারক্ষী র্যাবকে তালা খুলে দেন। ঢাকায় অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে কেউ আসছে না ক্লাবে। আধা কিলোমিটার দূরে সদরঘাটে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে গিয়ে দেখা গেছে জুয়া খেলার জন্য টেবিলগুলোতে তাস, গুটি ও খাতাপত্র রয়েছে। ক্লাবটিতে চারটি কক্ষ রয়েছে। ভেতরে কেউ নেই।
নিরাপত্তাকর্মী মো. শহীদুল্লাহ বলেন, দুদিন করে ক্লাবে কেউ আসে না। আগে গভীর রাত পর্যন্ত লোকজন থাকত। সেই সময় জুয়া, মদ চলতো কিনা প্রশ্ন করা হলে কোনো উত্তর দেননি তিনি। র্যাবের অভিযান দলটি নগরের হালিশহরে আবাহনী লিমিটেড ক্লাবে অভিযান চালিয়ে কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। সেখান থেকে জুয়া খেলার সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে।
এর আগে গতকাল শুক্রবার রাতে নগরের হাং আউট নামের একটি ক্লাবে অভিযান চালিয়ে কোতোয়ালি থানা-পুলিশ ২৭ জনকে আটক করে। যাচাই-বাছাই করে ২৫ জনকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। জুয়া আইনে করা মামলায় ওই ক্লাব মালিকের ছেলে খলিকুজ্জামান ও কর্মচারী রবিউল হোসেনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ। সেখানে অনুমতি ছাড়া পুল ও স্নুকার খেলা হত।
ঢাকা অর্থনীতি/একে