দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম
চট্টগ্রামের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ চলছে পুরোদমে
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতেও সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে দেশের দ্বিতীয় এবং চট্টগ্রামের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ চলছে পুরোদমে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, বন্দর নগরী চট্টগ্রামের লালখান বাজার থেকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ১৬ কিলোমিটার এ উড়াল সড়কের এরইমধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশেরও বেশি কাজ শেষ হয়েছে। সড়কটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে।
যানজট নিরসণ ও চলাচলের সুবিধার জন্য এবং এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েকে কার্যকর করতে আগ্রাবাদ, বারিক বিল্ডিং মোড়, নিমতলী বিশ্বরোড, কাস্টমস মোড়, সল্টগোলা ক্রসিং, ইপিজেড মোড় এবং সিমেন্ট ক্রসিং মোড়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে গাড়ি ওঠানামা করানোর জন্য লুপ রাখা হবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, দেশের দ্বিতীয় ও চট্টগ্রামের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বা উড়াল সড়কের নির্মাণকাজ চলছে পুরোদমে। এখন পর্যন্ত কাজ শেষ হয়েছে প্রায় ৩০ শতাংশের বেশি। এ প্রকল্পের কাজ শেষ হলে পুরো শহরে যানজট অনেকটাই কমে যাবে বলে প্রত্যাশা নগরবাসীর। এর ফলে এ এলাকার ব্যবসায়ীদের ভাগ্য পাল্টে যাবে। বন্দরের কাজেও গতি বাড়বে।
প্রকল্পের চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ জানান, রাস্তাটা প্রায় সাড়ে ১৬ কিলোমিটার। এর মধ্যে আমরা প্রায় ৬ কিলোমিটারের কাজ শেষ করেছি। শেষ পর্যন্ত এর সুফল পাবে জনগণ। এর ফলে বন্দর ইপিজেড সড়ক হবে যানজটমুক্ত। ২০ মিনিটে চট্টগ্রাম শহর থেকে বিমানবন্দরে যাওয়া যাবে।
বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপোস এসোসিয়েশনের (বিকডা) সভাপতি নূরুল কাইয়ূম খান জানান, এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পর্যাপ্ত পরিকল্পনা করে করা হচ্ছে। কোনো টাকা অপচয় করে করা হচ্ছে না। সুতরাং এটার কাজ শেষ হলে অবশ্যই আমরা তার সুফল পাবো।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ১১ জুলাই জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এই প্রকল্পের অনুমোদন দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিন বছর মেয়েদি এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় তিন হাজার ২৫০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
/এন এইচ