দেশজুড়ে
ঘুষের মামলায় ফাঁসছেন মিজান ও দুদক পরিচালক
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ ৪০ লাখ টাকার ঘুষ কেলেঙ্কারিতে মামলায় অভিযুক্ত হতে যাচ্ছে পুলিশের সাময়িক বরখাস্তকৃত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান ও দুর্নীতি দমন কমিশনের পরিচালক এনামুল বাছির।
তাদের মধ্যকার অডিও রেকর্ডের ফরেনসিক রিপোর্ট ও অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে শিগগিরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে দুদকের অনুসন্ধান টিম। চলতি সপ্তাহে তাদের আসামি করে মামলা দায়ের করা হবে বলে দুদকের উর্ধ্বতন একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
আসামির সংখ্যা কেমন হবে-এমন প্রশ্নের জবাবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুদকের উর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, আপাতত ডিআইজি মিজান ও এনামুল বাছিরই আসামি হচ্ছেন। তদন্ত পর্যায়ে কী হবে তা আগে থেকেই বলা যায় না। কারণ আমাদের দায়িত্ব শুধুমাত্র ঘুষ কেলেঙ্কারি বিষয়টি অনুসন্ধান করা। তাদের বিষয়ে আলাদা তদন্ত চলছে। অনুসন্ধান প্রতিবেদনেও আরো কিছু নির্দেশনা ও সুপারিশ থাকবে।
অনুসন্ধান পর্যায়ে ডিআইজি মিজানের দেহরক্ষী হৃদয় হাসান, গাড়িচালক সাদ্দাম হোসেনকে ৭ জুলাই এবং তার অফিস আর্ডালি সুমনকে ২৬ জুন জিজ্ঞাসাবাদ করে সংস্থাটির অনুসন্ধান টিম। অন্যদিকে এনামুল বাছিরকে গত ১০ জুলাই দ্বিতীয় দফায় তলব করা হলেও তিনি হাজির হননি। তবে ওই দিনই তার পক্ষে আইনজীবী কামাল হোসেন লিখিত বক্তব্য জমা দেন। জানা যায় লিখিত বক্তব্যে বাছির নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আরো কিছু বক্তব্য দিয়েছেন।
এদিকে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ অনুসন্ধানে পুলিশের বিতর্কিত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ১১ জুলাই ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজকে এম ইমরুল কায়েশের দেওয়া আদেশে আগামী ১৫ জুলাই ডিআইজি মিজানুর রহমানকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি প্রদান করেন। ইতিমধ্যে প্রশ্নপত্র তৈরি করে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে দুদক টিম।
আদালতে দুদকের পরিচালক ও অনুসন্ধান দলের নেতা শেখ মো. ফানাফিল্লাহ ঘুষ লেনদেনের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার কথা জানিয়ে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করেন। অনুসন্ধান দলের অন্য সদস্যরা হলেন- দুদকের সহকারী পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান ও সহকারী পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন।