শিল্প-বানিজ্যশেয়ার বাজার

গ্রামীণফোনের শেয়ারে ধস

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ অডিট আপত্তির দুই হাজার কোটি টাকা অবিলম্বে পরিশোধের আদেশ আসার পর গ্রামীণফোনের শেয়ারের বড় দরপতন হয়েছে। সপ্তাহের প্রথম দিন রোববার (২৪ নভেম্বর) সকালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আদেশ আসার পর লেনদেনের শুরু থেকেই জিপির শেয়ারের দর পড়তে থাকে।

গত সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার জিপির ক্লোজিং প্রাইস ছিল ৩২৯ টাকা ৫০ পয়সা। রোববার দিন শুরু হয় ৩২৮ টাকা ৯০ পয়সা দর নিয়ে।

দিন শেষে এ কোম্পানির শেয়ারের দাম নেমে আসে ৩১১ টাকা ১০ পয়সায়, যা আগের দিনের তুলনায় ১৮ টাকা ৪০ পয়সা বা ৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ কম। বাজার মূলধনের প্রায় ১২ শতাংশ দখল করে রাখা গ্রামীণফোনের শেয়ারের দাম পড়ে যাওয়ায় সূচক পতন হয়েছে পুঁজিবাজারেও।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স এদিন ১৮ দশমিক ২৪ পয়েন্ট কমেছে। আর চট্টগ্রাম স্টক একচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই কমেছে ২০ পয়েন্টের মত।

টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা-বিটিআরসি বলে আসছে, গ্রামীণফোনের কাছে নিরীক্ষা আপত্তির ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে তাদের। এ নিয়ে গ্রামীণফোন ইতোমধ্যে মামলা করেছে বিটিআরসির বিরুদ্ধে।

গ্রামীণফোনের আবেদনে হাই কোর্ট বিটিআরসির নিরীক্ষা আপত্তি দাবির নোটিসের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। আপিল বিভাগ রোববার সেই নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখে গ্রামীণফোনকে অবিলম্বে দুই হাজার কোটি টাকা পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছে।

গ্রামীণফোন ওই টাকা দিতে ব্যর্থ হলে হাই কোর্টের নিষেধাজ্ঞাও বাতিল হয়ে যাবে। তখন গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে যে কোনো আইনি ব্যবস্থা নিতে পারবে বিটিআরসি।

অডিট আপত্তি নিয়ে এই বিরোধের মধ্যে গত কয়েক মাস ধরেই গ্রামীণফোনের শেয়ার দর ওঠানামা করছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে গ্রামীণফোনের শেয়ারের দাম ছিল ৫১০ টাকা, যা এই শেয়ারটির সর্বোচ্চ মূল্য।

এরপর তা কমতে কমতে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ৪১০ টাকায় নেমে আসে। ১৫ জুলাই তা আরও কমে ৩২৪ টাকায় নেমে আসে। ৪ সেপ্টেম্বর তা নেমে আসে ৩০০ টাকার নিচে; ২৮৯ টাকা ৪০ পয়সায়।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close