আশুলিয়াপ্রধান শিরোনামস্থানীয় সংবাদ
গ্যারেজ থেকে আগুন ছড়িয়ে গেল শ্রমিক কলোনী ও বিদ্যালয়ে
নিজস্ব প্রতিবেদক: আশুলিয়ায় একটি গ্যারেজ থেকে শ্রমিক কলোনীসহ বিদ্যালয়ে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে শ্রমিক কলোনীর ১৭ টি কক্ষ, একটি স্কুলের ৮ কক্ষ এবং পাশের দোকান সহ আরো ৭টি কক্ষ ও কক্ষে থাকা সমস্ত মালামাল পুড়ে গেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৩ টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় এক ঘন্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। ভুক্তভোগী দের দাবী, আগুনে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী ক্ষতিগ্রস্ত মালিকদের।
শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে আশুলিয়ার কলতাসূতি মাঝার রোড বটতলা এলাকায় আগুনের এ ঘটনা ঘটে।
ক্ষতিগ্রস্ত বকসি আদর্শ পাবলিক স্কুলের পরিচালক জহিরুল ইসলাম বকসি জানান, রাত সাড়ে ১০ টার দিকে স্কুলের পাশেই শাহাবুদ্দিন মাষ্টারের মালিকানাধীন সিএনজি গ্যারেজ থেকে আগুন লাগে। মুহুর্তের মধ্যেই আগুন গ্যারেজের পাশের টিনসেডের শ্রমিক কলোনী, দোকানপাট ও তার স্কুলে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে তার স্কুলের ৮ টি কক্ষ, ১৫ টি কম্পিউটার, পিএসসি, জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার সার্টিফিকেট, বইপত্রসহ সবকিছু পুড়ে গেছে। এতে তার ১০ লক্ষাধিক টাকার মত ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী।
ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক কলোনীর মালিক শাহাবুদ্দিনের স্ত্রী রোকেয়া বেগম জানান, তাদের টিসেডের ১৬ টা এবং সেমিপাকা ১ টা সহ মোট ১৭ টি কক্ষ পুড়ে গেছে। সেই সাথে ভাড়াটিয়াদের কক্ষে থাকা টিভি, ফ্রিজ, স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকা সহ
সমস্ত মালামাল পুড়ে গেছে। ক্ষতির পরিমান আনুমানিক ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা।
এদিকে, ইঞ্জিনিয়ার মতিউর রহমানের মালিকানাধীন ভাড়া দেয়া স্কুলের ৮ কক্ষ, দোকান ও অন্যান্য ভাড়াটিয়াদের সহ মোট ১৫ টি কক্ষ পুরে যায়। যার মধ্যে একটি হোটেল, ইলেকট্রনিক ও ফার্নিচারের দোকান, মুদি দোকান এবং এসব কক্ষে থাকা সবকিছু পুড়ে গেছে।
ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার জহিরুল ইসলাম জানান, বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলেই প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। আগুনে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা তদন্ত করে বলা যাবে। তবে সব মিলিয়ে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্তদের দাবী।