দেশজুড়ে
গোপন কক্ষে না গিয়ে প্রকাশ্যে সিল, ক্ষমা চাইলেন ধর্মমন্ত্রী
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: ভোটকেন্দ্রের গোপন কক্ষে না গিয়ে প্রকাশ্যে ব্যালট পেপারে সিল দেয়ায় নির্বাচন কমিশনে (ইসি) শুনানিতে এসে ক্ষমা চেয়েছেন নতুন মন্ত্রিসভার ধর্মমন্ত্রী ও জামালপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ফরিদুল হক খান।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
অভিযোগের ব্যাখ্যা শেষে ধর্মমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, দেশে আইন আছে, সংবিধান আছে। সেক্ষেত্রে তিনি নিজেও আইনের ঊর্ধ্বে নন। বিধান অনুসারে ইসি থেকে তাকে উপস্থিত হতে বলা হয়। কমিশন বিষয়টি দেখবে। তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আর বড় কোনো ভুল তিনি করেননি বলে বিশ্বাস ফরিদুল হক খানের।
এর আগে গত ৭ জানুয়ারি জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার পলবান্ধা ইউনিয়নের সিরাবাদ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রকাশ্যে ভোট দেন ফরিদুল হক খান, যা গণমাধ্যমে ছবিসহ প্রকাশিত হয়েছে। এরপর গত ১১ জানুয়ারি মন্ত্রী হিসেবে শপথের দিন তাকে তলব করে ইসি।
ইসির পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, ‘প্রকাশ্যে ভোট দান করে ভোটের গোপনীয়তা রক্ষা না করা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ অপরাধে আপনার বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়া হবে না, সে বিষয়ে ১৫ জানুয়ারি বিকেল ৩টায় নির্বাচন ভবনে ব্যক্তিগতভাবে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে ইসি সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।
নির্ধারিত সময়ে ইসিতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেন ধর্মমন্ত্রী।
/এএস