গার্মেন্টসপ্রধান শিরোনামশিল্প-বানিজ্য
গার্মেন্টস মালিকরা দুই বছর মেয়াদী ঋণ শোধ করতে সময় চান পাঁচ বছর
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ শ্রমিকদের বেতন দিতে একেবারে স্বল্প সুদে ঋণ দেয়া হয়েছিল পোশাক কারখানার মালিকদের। প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকার এ ঋণ শোধ করার কথা ছিল ১৮টি কিস্তিতে দুই বছরের মধ্যে। কিন্তু পোশাক মালিকরা এখন এ ঋণ শোধ করতে সময় চান পাঁচ বছর।
সম্প্রতি এ সংক্রান্ত বিজিএমইএ’র সভাপতি রুবানা হক স্বাক্ষরিত একটি চিঠি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী টিপু মুনশির কাছে পাঠানো হয়েছে। এতে বাণিজ্যমন্ত্রীর ‘একান্ত সহযোগিতা’ ও ‘সদয় দৃষ্টি’ চেয়েছেন বিজিএমইএর বর্তমান সভাপতি। অবশ্য এখনও এ ব্যাপারে সরকারে তরফে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল জানিয়েছেন, ঋণ পরিশোধে সময় বাড়ানো হবে কিনা সে সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী।
বিজিএমইএ’র পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে বর্তমানে পোশাক খাত ‘গভীর সঙ্কটময়’ সময় পার করছে। জাতীয় অর্থনীতিতে এর ‘ব্যাপক নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া’ ইতোমধ্যে দৃশ্যমান।
ক্রেতারা যেসব আদেশ দিচ্ছেন এবং আগের ক্রয়াদেশের বিপরীতে যেসব পণ্য রপ্তানি হচ্ছে, সেগুলোর অর্থ পেতে ৮ থেকে ৯ মাসের বেশি সময় লাগবে। ফলে বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে ঋণ পরিশোধ করা ‘দুরূহ’ হবে।
করোনার মহামারীর সময় সরকারের দেয়া প্রণোদনার পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রথম প্যাকেজটিই ছিল রপ্তানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীদের মজুরি ও বেতন দেয়ার জন্য। এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত তিন মাসের জন্য এ প্যাকেজ ঘোষণা করা হয় গত ১লা এপ্রিল। ২ শতাংশ সার্ভিস চার্জের মাধ্যমে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে ঋণ নিয়ে কারখানার মালিকরা বেতন-মজুরি দেন। কিন্তু জুন মাসের বেতন-মজুরি দেওয়ার আগেই টাকা শেষ হয়ে যায়। তখন তহবিলের আকার আরও ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বাড়ানো হয়। এরপর আরো তিন মাসের বেতন ভাতা দিতে সরকারের কাছে আবেদন করে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ।
এ সময় শিল্প ও সেবা খাতের জন্য যে ত্রিশ হাজার কোটি টাকা তহবিল গঠন করে তার অংক বাড়িয়ে ৩৩ হাজার কোটি টাকা করে সরকার। এখানেই শেষ নয়। গত ২৪শে জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংক জুলাই মাসের বেতন পরিশোধের জন্য ঋণ দিতে ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে যে চিঠি দিয়েছিল, তাতে বলা হয়েছিল, শেষবারের মত জুলাই মাসের বেতন দিতে এই তহবিল থেকে ঋণ পাবেন পোশাক শিল্প মালিকরা। ওই তহবিলের ঋণের সুদের হার হবে ৯ শতাংশ, যার অর্ধেক বা সাড়ে ৪ শতাংশ সরকার ভর্তুকি দেবে, বাকিটা ঋণগ্রহীতা পরিশোধ করবেন।
/আরএম