স্বাস্থ্য
গর্ভাবস্থায় যৌন মিলন নিয়ে যত ভুল ধারণা
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ বেশির ভাগ লোক মনে করে প্রেগনেন্সির সময় নাকি সেক্স করা উচিত না, কিন্তু সেটা একেবারেই ঠিক নয়। প্রথম তিনমাসে শরীরের মধ্যে একটা ক্লান্তির ভাব থাকে, সব সময় গা পাক দেয়, সেই সময় সঙ্গীর কাছাকাছি আসতে ভালো নাই লাগতে পারে।
কিন্তু সাধারণত তিন মাস বাদের থেকে অর্থাৎ ৩-৬ মাসের মধ্যে এই গা গোলানো ভাবটা বন্ধ হয়ে যায়। আপনার শরীরে অক্সিটনিক (প্রেমজ হর্মোন) বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। আসলে প্রেগনেন্সির দ্বিতীয় ধাপে এসে রক্ত প্রবাহ এবং স্রাব দুটিই বৃদ্ধি পায়। এই কারণে প্রেমজ হর্মোন নিঃসরণ বৃদ্ধি পায়। এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটিকে চ্যাডউইক -ও বলা হয়। এই সময় সাথির সাথে ঘনিষ্ট হওয়ার বাসনা বৃদ্ধি পায়।
প্রেগনেন্সির সময় সেক্স নিয়ে এমন অনেক কথা বলা হয়, যে গুলি একেবারেই ভিত্তি হীন। এখানে প্রচলিত ধারণা গুলি সম্পর্কে ড. শিল্পিতা শানথাপ্পা কিছু কথা বলেছেন, যা পড়ার পরে আপনার মধ্যে থাকা ভুল ধারণা গুলি অনেকটাই দূর হয়ে যাবে।
ধারণা – ১ প্রেগনেন্সির সময় সেক্স করলে ভ্রূণ (বাচ্চার) ক্ষতি হয়।
সত্যি :- প্রেগনেন্সির সময় ওয়েজাইনা স্ট্রেসের ফলে একটু বৃদ্ধি পায়, এরফলে গর্ভাশয়ের বাইরের দিকে মিউকাসের একটা ভারী স্তর জমে যায়। যার ফলে সেক্সের সময়তেও গর্ভাশয়ের মধ্যে বাচ্চা সুরক্ষিত থাকে।
ধারণা – ২
অনেক সময় পেটের ভেতরে বেদনার অনুভূতি হয়, কিন্তু এর ফলে যে আপনার প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয়ে যেতে পারে তার কোনো মানে নেই।
ধারণা – ৩
সেক্সের পরে রক্ত ক্ষরণের মানে হল মিসক্যারেজ হওয়া বা কোনো রকম ক্ষরণ হওয়া।
এই সময় গর্ভাশয় খুবই স্পর্শকাতর থাকে, সেই কারণে মিলনের পরে সামান্য রক্ত আসতে পারে, এটা খুবই সাধারণ বিষয়। কিন্তু যদি ব্লিডিং বেশি হয়, তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
ধারণা – ৪
অনেকে মনে করে প্রেগনেন্সির সময় সেক্স করলে ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
আসলে যদি আপনার সঙ্গীর কোনো রকম যৌনতা সম্পর্কিত রোগ না থাকে তাহলে আপনার চিন্তা করার কোনো প্রয়োজন নেই। এই রকম অবস্থায় নিজেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখাটা খুব জরুরি।
একটা কথা মাথায় রাখবেন, প্রেগনেন্সির সময় সেক্স করলে ক্ষতি তো কিছু হয়ই না, বরং আপনি লাভবান হবেন। এতে করে আপনার ঘুম ভালো হবে এবং আপনাদের মধ্যে প্রেম আরও গভীর হবে।
/আরএম