প্রধান শিরোনামস্বাস্থ্য
গণস্বাস্থ্যের কিটে ত্রুটি নেই, নমুনা সংগ্রহে জটিলতা
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নমুনা সংগ্রহ পদ্ধতিতে জটিলতা থাকায় অ্যান্টিজেন টেস্ট কিটের মাধ্যমে করোনাভাইরাস (কোভিড ১৯) শনাক্তের বেলায় পরিপূর্ণ ফল পাওয়া যাচ্ছে না। এ বিষয়টি উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) কর্তৃপক্ষকে অ্যান্টিজেন কিটের পরীক্ষা আপাতত স্থগিত রাখার জন্য চিঠি দিয়েছে গণস্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (২ জুন) বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়ার কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এ অনুরোধ জানান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জিআর কোভিড-১৯ র্যাপিড ডট ব্লট প্রকল্পের কো-অর্ডিনেটর ও গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের উপাধাক্ষ্য ডা. মুহিব উল্লাহ খোন্দকার।
এ তথ্য জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের র্যাপিড ডট ব্লট কিট উদ্ভাবন দলের প্রধান বিজ্ঞানী ডঃ বিজন কুমার শীল।
তিনি বলেন, ‘রোগীর থুতু থেকে নেওয়া নমুনা থেকে আমাদের অ্যান্টিজেন কিটের মাধ্যমে টেস্ট করলে কোভিড ১৯ শনাক্তের ক্ষেত্রে ঠিক ফলাফল পাওয়া যায়। কিন্তু নমুনা সংগ্রহের সময় দেখা যাচ্ছে রোগীকে থুতু দিতে বললে অনেক সময় তারা কফ-ও দিয়ে দিচ্ছে। থুতুর বদলে কফ দিলে সে ক্ষেত্রে টেস্ট করার পর পরিপূর্ণ ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে না।’
ড. বিজন বলেন, আমাদের এই কিটের জন্য লালার জলীয় অংশটুকু দরকার। তাই থুতু প্রয়োজন। কিন্তু প্রথম দিকে অনেকে বুঝতে ভুল করায় এ সমস্যা হয়েছে। আমরা বিএসএমএমইউ এর সাথে গত সোমবার সাক্ষাত করেছি। আমরা সমন্বিতভাবেই এ কিটের ব্যাপারে কাজ করছি। এই কিটের পরীক্ষার জন্য যত ধরণের সহায়তা দরকার তা করার চেষ্টা করে আসছি। পরবর্তীতে আমরা এ বিষয়টি জানিয়ে আপাতত অ্যান্টিজেন কিটের পরীক্ষা কার্যক্রম স্থগিত রাখতে বিএসএমএমইউকে চিঠি দিয়েছি। তবে এন্টিবডি কিট নিয়ে তাদের পক্ষ থেকে যথেষ্ট ভালো প্রতিক্রিয়া পেয়েছি। তাই এন্টিবডি কিটের পরীক্ষা দ্রুত শেষ করে রিপোর্ট জমা দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।’
নমুনা সংগ্রহের বিষয়ে ড. বিজন বলেন, আমরা লালা সংগ্রহ করার জন্য ইউনিভার্সাল, সহজ ও কার্যকরী উপায় খুজে বের করেছি। কয়েকদিনের মধ্যেই পদ্ধতিটি প্রকাশ করা হবে। এছাড়াও লালা সংগ্রহের মধ্যে দেখা যায় লোকজন চা-পান, বিড়ি- সিগারেট ও অন্যনা খাবার খাওয়ার পর এসেছে। তাই নমুনা সংগ্রহ অনেকটা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে।
জানা যায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা চলছে। তাদের পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে বাংলাদেশে এই কিটের অনুমোদনের সম্ভাবনা রয়েছে।
গণস্বাস্থ্যের কিট মূলত দুটি অংশে বিভক্ত- অ্যান্টিবডি ও অ্যান্টিজেন। অ্যান্টিজেন কিট শরীরে কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি জানান দিতে সক্ষম। আর এন্টিবডি কিট দিয়ে পরীক্ষা করা হয় যে শরীরে এই ভাইরাসের এন্টিবডি তৈরী হয়েছে কিনা জানার জন্য।
/আরএম