দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম
গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে যাত্রী অতিরিক্ত ভাড়া কেন দিবে
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ গণপরিবহনের আসন খালি না রাখলে ও স্বাস্থ্যবিধি না মানলে যাত্রী অতিরিক্ত ভাড়া কেন দিবে, এমন প্রশ্ন রেখেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শনিবার রাজশাহী সড়ক জোন, বিআরটিসি, বিআরটিএ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, সরকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেয়। শুরুতে কিছু পরিবহন প্রতিশ্রুতি মেনে চললেও এখন অনেকেই মেনে চলছে না। আসন খালি না রাখলে ও স্বাস্থ্যবিধি না মানলে যাত্রী সাধারণ অতিরিক্ত ভাড়া কেন দেবে?
ভাড়ার বাড়ানোর বিষয়ে তিনি বলেন, গণপরিবহনে বাড়তি ভাড়ার বিষয়ে বিআরটিএ মালিক-শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে মতবিনিময় করে কিছু সুপারিশ তৈরি করে। এসব সুপারিশ মন্ত্রণালয় হয়ে কেবিনেট ডিভিশনে পাঠানো হচ্ছে। কীভাবে বা কোন কোন শর্তে আগের ভাড়ায় ফিরে যেতে হবে, এসব বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত পাওয়া গেলে আমরা তা সবাইকে জানাবো।
করোনাভাইরাস শিগগিরই চলে যাবে বা চলে যাচ্ছে এমন মনে করার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ একটি নির্দিষ্ট পর্যায়ে রয়েছে। বাড়ছেও না, আবার কমছেও না। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে তুলনা করলে বাংলাদেশে তুলনামূলক অবস্থান ভাল হলেও আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই। নিউজিল্যান্ড ও স্পেনসহ ইউরোপের অনেক দেশে দ্বিতীয় ওয়েব শুরু হয়ে গেছে। যেকোনো সময়ে পরিস্থিতির আরো অবনতি কিংবা দ্বিতীয় ওয়েভ শুরু হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
স্বাস্থ্যবিধির প্রতি অবহেলা বিপর্যয়ের ঝুঁকি বাড়াতে পারে উল্লেখ করে কাদের বলেন, জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে বের হলে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করতে হবে। আমাদের অভ্যাসের পরিবর্তন ঘটিয়ে তা স্বাস্থ্যবান্ধব করতে হবে।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে মুছে দেয়ার লক্ষ্যেই গ্রেনেড হামলা করা হয়েছে দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির নেতারা দিবালোকের মত সত্যকে বিকৃত করে বলছে, একুশে আগস্ট নাকি দুর্ঘটনা। একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলায় রাষ্ট্রযন্ত্রকে পরিকল্পিতভাবে ব্যবহার করে হামলা চালানো হয়েছিলো। যা ছিলো পনের আগস্টের হত্যাকাণ্ডেরই ধারাবাহিকতা।
তিনি বলেন, মুফতি হান্নানসহ অন্যান্যদের বক্তব্য ও দালিলিক প্রমাণে বেরিয়ে এসেছে কারা এর পেছনে মদদ দিয়েছে, কারা বৈঠক করেছে, ষড়যন্ত্র করেছে। এ হামলার মাস্টারমাইন্ড হাওয়া ভবন তাদের নির্দেশেই এই হামলা। বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব সবই জানতো। তারা আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতে চেয়েছিল। মুছে দিতে চেয়েছিলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা।
ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, খুনিদের নিখুঁত হত্যা-পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ায় তারা তাদের দৃষ্টিকোণ থেকে দুর্ঘটনাই মনে করতে পারে। তদন্তে বাধা দেয়া, জজ মিয়া নাটক সাজানো, আলামত নষ্ট করাসহ পদে পদে বাধাদানের মাধ্যমে তাদের সংশ্লিষ্টতার অকাট্য প্রমাণ জাতির কাছে আজ স্পষ্ট।
/এন এইচ