দেশজুড়ে
গণধর্ষণে অভিযুক্ত পুলিশের এসআইকে বাদ দিয়েই মামলা
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ যশোরে গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাকে বাদ দিয়েই মামলা করেছে পুলিশ। পরে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এদিকে, ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে প্রধান করে ৩ সদস্যের কমিটি করেছে পুলিশ।
বুধবার (০৪ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে অভিযান চালিয়ে আসামিদের মধ্যে কামারুল, লতিফ ও কাদেরকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এর আগে নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (৩) ধারায় অভিযোগ দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মাহমুদ আল ফরিদ জানান, নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশের সোর্স কামরুল, লতিফ ও কাদেরের নাম উল্লেখ করেই ধর্ষণ মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তার করে বুধবার সকালে কোর্টে চালান দেয়া হয়েছে।
এদিকে, পুলিশের দাবি, অভিযুক্ত এস আই খায়রুলকে নির্যাতিতার সামনে হাজির করা হলে তাকে চিনতে না পারায় মামলায় তার নাম উল্লেখ করা হয়নি।
অন্যদিকে, নির্যাতিতার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে সদর হাসপাতালের আরএমও।
উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট রাতে শার্শার লক্ষণপুর গ্রামে তার স্মামী আসাদুজ্জামান আশাকে গোড়পাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই খায়রুল তুলে নিয়ে যায়। পরদিন ২৬ আগস্ট ৫০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার দেখিয়ে আসাদুজ্জামানকে আদালতে চালান দেয়।
২৬ আগস্ট সোমবার রাত ২টার দিকে চটকাপোতা গ্রামের কামরুল, লক্ষণপুর গ্রামের লতিফ ও কাদেরকে নিয়ে এসআই খাইরুল আসামি আসাদুজ্জামানের বাড়িতে যায়। তাঁর স্ত্রীকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে স্বামীকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়ার কথা বলে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে খায়রুল ও কামারুল ক্ষিপ্ত হয়ে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে। প্রথমে এসআই খায়রুল ও পরে পুলিশের সোর্স কামারুল ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। সেসময় লতিফ ও কাদের ঘরের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিল। বিষয়টি কাউকে জানালে তাকেও মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়।
এদিকে ওই ঘটনায় পুলিশ সুপারের নির্দেশে বুধবার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাউদ্দিন শিকদারকে প্রধান করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। তদন্ত শেষে তারা যশোরের পুলিশ সুপার বরাবর তদন্ত রিপোর্ট পেশ করবেন বলে জানা গেছে।