দেশজুড়ে

গণজমায়েত নিষিদ্ধ, নির্বাচন করবেই ইসি

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ ঘনিয়ে আসছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন। আওয়ামী লীগ প্রার্থী আজ বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) প্রচারণা না চালালেও বিএনপি প্রার্থী লোকজন নিয়ে করোনা প্রতিরোধে জনসচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেছেন।এদিকে, করোনা ভাইরাস আশঙ্কার মধ্যেই আগামী ২১ মার্চ ঢাকা-১০, গাইবান্ধা-৩, বাগেরহাট-৪ এর উপনির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তবে বগুড়া-১, যশোর-৩ ও চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনের বিষয়ে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত দেয়া হবে বলে জানিয়েছে কমিশন।

বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের গণসংযোগ না করলেও নির্বাচনের বাকী দিনগুলোতে সীমিত পরিসরে প্রচারণার কথা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী।তিনি বলেন, যেহেতু আমরা প্রচারণায় গেলে সেখানে অনেক লোক জড়ো হয়ে যায়, তাই আমরা প্রচারণা অনেক কমিয়ে ফেলেছি। যেখানে যাচ্ছি সেখানে করোনা ভাইরাসের ব্যাপারে সচেতন হওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।অন্যদিকে, জনগণের মাঝে লিফলেট ও মাস্ক বিতরণ করে বিএনপি মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন নির্বাচন পেছানোর দাবি করেছেন।

তিনি বলেন, আমরা চাই জনগণের স্বার্থে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বিবেচনা করে, দরকার হলে এক মাস-দেড় মাস-তিন মাস-চার মাস পরে হলেও সমস্যা নেই, তখন নির্বাচনটা হোক।এদিকে, বিশ্বব্যাপী মহামারী আকার ধারণ করা করোনা ভাইরাসের প্রকোপের মধ্যে জনস্বাস্থ্যে হুমকি দেখছে না নির্বাচন কমিশন। আর তাই, বগুড়া-১, যশোর-৩ ও চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনের বিষয়ে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা বললেও, আগামী ২১ মার্চ ঢাকা-১০, গাইবান্ধা-৩, বাগেরহাট-৪ এর উপনির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) বিকেলে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ইসি সচিব মো. আলমগীর এ তথ্য জানান।নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, আমরা করোনায় নির্বাচনের সুবিধা-অসুবিধা আলোচনা করেছি। যেখানে সুবিধা বেশি। তাই ২১ মার্চ নির্বাচন বন্ধ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।তবে অসুস্থ ও বিদেশ ফেরতদের ভোটকেন্দ্রে না আসার জন্য অনুরোধ করেছেন তিনি।

তিনি বলেন, ইসি বিবেচনা করেই এ নির্বাচনটি ২১ তারিখ হবে বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রত্যেকটি ভোটকেন্দ্রেই হ্যান্ড সানিটাইজেশনের ব্যবস্থা থাকবে, প্রত্যেক ভোটার ভোট দেয়ার আগে এবং পরে এই স্যানিটাইজেশন ব্যবহার করতে পারবে। থাম্ব ইম্প্রেশনের মাধ্যমে যে ভোট দেবেন, সেখানেও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করার সুযোগ থাকবে।

তিনি আরো বলেন, কেউ যদি নিজেকে করোনায় আক্রান্ত বলে মনে করেন, আমাদের পরামর্শ থাকবে, আপনারা ভোট দিতে আসবেন না। সচেতনতা বাড়ানোর জন্য প্রত্যেকটি ভোট কেন্দ্রের সামনে ব্যানারও থাকবে।করোনা প্রসঙ্গে মো. আলমগীর বলেন, করোনা এখনো মহামারী আকারে ছড়ায়নি। এজন্য কমিশন নির্বাচনটা সম্পন্ন করা যুক্তিযুক্ত মনে করছে। তবে করোনার কারণে ভোটার উপস্থিতি কম হবে ধরে নিয়েই আমরা নির্বাচন করছি।

তিনি বলেন, ভোটার উপস্থিতি যেহেতু কম হবে, সেহেতু নির্বাচনের কারণে জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকিও কম হবে। এছাড়া আপনারা হাত ধুয়ে ভোট দেবেন। ভোট দিয়ে আবার হাত ধোবেন, তাহলেই হবে।

/এন এইচ

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close