ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: অর্ধেক গণপরিবহন চালু রাখার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসছে সরকার। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১৯ আগস্ট থেকে সড়ক, রেল ও নৌপথে সব ধরনের গণপরিবহন চলাচল করতে পারবে। একই দিন থেকে পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্র চালু রাখা হবে। তবে ধারণক্ষমতার অর্ধেক দর্শনার্থী প্রবেশ করতে পারবেন।
আজ (১২ আগস্ট) বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক আদেশে সরকারের এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। এর ফলে দীর্ঘদিন ধরে চলা বিধিনিষেধ আর প্রায় থাকল না। অবশ্য পূর্বঘোষণা অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আপাতত বন্ধই থাকছে। সবশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, ৩১ আগস্ট পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকছে। সরকারের পরিকল্পনা হলো, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমলে এবং পর্যাপ্ত টিকা দিতে পারলে পর্যায়ক্রমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে।
দীর্ঘদিন ধরে ‘কঠোর’ বিধিনিষেধের পর গতকাল বুধবার থেকে গণপরিবহনসহ প্রায় সবকিছুই খুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সড়কপথে আসনসংখ্যার সমপরিমাণ যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চলার সুযোগ থাকলেও প্রতিদিন মোট পরিবহনসংখ্যার অর্ধেক চালুর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এর যুক্তি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে চলতি বছরের ৫ এপ্রিল থেকে ধাপে ধাপে বিধিনিষেধ চলছিল। ঈদের পর ২৩ জুলাই কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়। যা প্রথমে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছিল। পরে তা ১০ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। ১১ আগস্ট থেকে প্রায় সব খুলে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আদেশে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা থাকবে সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত এবং বেসরকারি অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান। শপিং মল ও দোকানপাট সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা রাখা যাবে। সব শিল্প-কলকারখানা চালু থাকবে। আর খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁয় অর্ধেক আসন খালি রেখে সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। আদালতের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবেন।
আজকের আদেশে বলা হয়েছে, ১৯ আগস্ট থেকে পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্রও চালুর অনুমোদন দেওয়া হলো। আদেশে আরও বলা হয়, সব ক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। যেকোনো প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে অবহেলা দেখা গেলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দায়িত্ব বহন করতে হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।