দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম

খালেদা জিয়ার জামিন খারিজ

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন পর্যবেক্ষণের পর খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। তবে খালেদা জিয়া যদি সম্মতি দেন তাহলে তাকে অধিকতর চিকিৎসা (বায়োলজিক্যাল ট্রিটমেন্ট) দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন। এর আগে খালেদা জিয়ার মেডিক্যাল বোর্ডের প্রতিবেদনের ওপর এবং তার জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হয়।

সকাল সোয়া ১০ টায় প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ছয় বিচারপতির বেঞ্চে আপিল শুনানি শুরু হয়। এ সময় সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মেডিক্যাল বোর্ডের পাঠানো প্রতিবেদন আদালতের কাছে পেশ করেন।

এদিকে সকালে জামিন আবেদনের শুনানির আগে দুই পক্ষের ৩০ জন করে মোট ৬০ জন আইনজীবী এজলাসে উপস্থিত থাকার অনুমতি দেয় আপিল বিভাগ। তবে, ৬০ জনের বেশি আইনজীবী উপস্থিত থাকায় এজলাস ত্যাগ করেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৭ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ।

পরে বেলা ১১.৩০টা পর্যন্ত মুলতবি থাকার পর আবারও শুরু হয়ে ১টার পরে শেষ হয় শুনানি। বিএসএমএমইউ এর পাঠানো মেডিক্যাল রিপোর্ট প্রধান বিচারপতির আদালতে উপস্থাপন করা হয়। মেডিক্যাল রিপোর্টের উপর শুনানি চলে। মেডিক্যাল বোর্ডের রিপোর্টে বলা হয়, খালেদা জিয়ার রক্ত চাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আছে। রাজি না হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আর দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন ও জয়নুল আবেদীন।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াসহ চার আসামির সবাইকে ৭ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে গত বছর ২৯ অক্টোবর রায় দেন বিচারিক আদালত। ১৮ই নভেম্বর খালেদা জিয়ার দণ্ড বাতিল ও খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন তার আইনজীবীরা। তবে, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় জামিন হলেও মুক্তি মিলবে না খালেদা জিয়ার। কারণ, তাকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায়ও জামিন পেতে হবে। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির পাঁচটি মামলার মধ্যে ৩৭টি মামলা বিচারাধীন।

/এনএ

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close