দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম
ক্ষমা চেয়ে বহিষ্কারাদেশ পুনর্বিবেচনার দাবি মেয়রের
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: দল থেকে আজীবন বহিষ্কারের পর প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চেয়ে বহিষ্কারাদেশ পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম।
শনিবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তিনি।
আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্যপদ ফিরে পাওয়ার আকুতি জানিয়ে গাজীপুর নগর আওয়ামী লীগের সদ্য বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর বলেন, আমি কোনো অন্যায় করিনি, অপরাধ করিনি। আমি এ সাধারণ সম্পাদক পদ চাই না, বাকি জীবন আওয়ামী লীগের সাধারণ সদস্য ও সমর্থক হয়ে থাকতে চাই।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ছাত্র রাজনীতি করার সময় থেকে একটি প্রতিপক্ষ নানাভাবে তার ক্ষতি করার চেষ্টা করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় আমার ঘরের ভেতরে বসে তিন ঘণ্টার আলাপচারিতাকে খণ্ড খণ্ড করে জোড়া দিয়ে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।
মেয়র বলেন, আমি কোনো নেশার সঙ্গে যুক্ত নয়, কোনো অন্যায় করিনি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও দল চাইলে স্বেচ্ছায় ফাঁসি নিতে পারি। আমার কর্মী নেতাদের যেন কোনো ক্ষতি না হয়। শহর গড়তে নগরবাসীর বাড়ি ঘর ভেঙেছে, তারা যেন কোনো ভুল না বুঝে।
সংবাদ সম্মেলনে মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মনিরুজ্জামানসহ কয়েকজন কাউন্সিলর ছিলেন। তবে জেলা বা মহানগর আওয়ামী লীগের বড় কোনো নেতাকে সেখানে দেখা যায়নি।
গত ২২ সেপ্টেম্বরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ও শহীদদের নিয়ে মেয়রের একটি আপত্তিকর রেকর্ডিং ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় তীব্র আন্দোলন। এ ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি অংশ মেয়রকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি তোলেন।
প্রথমে তাকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে শোকজ ও পরে শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) দলীয় কার্যনির্বাহী সভায় আজীবনের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গণভবনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও আওয়ামী লীগের বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।