দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম
ক্রমান্বয়ে কাগুজে টাকার নোট তুলে দেয়া হবে
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: দেশে কাগুজে টাকার নোট বা ধাতব মুদ্রার লেনদেনের ব্যবহার যতটা সম্ভব কমাতে চায় সরকার। কাগুজে টাকার স্থানে ক্রমান্বয়ে চালু হবে ডিজিটাল মুদ্রা। প্রস্তাবিত বাজেটে ডিজিটাল মুদ্রা চালুর জন্য একটি সমীক্ষা চালানোর কথা বলা হয়েছে।
বিষয়টিকে ইতিবাচক উল্লেখ করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনও শত ভাগ মানুষ ব্যাংকিং সেবার আওতায় না থাকায় খুব সহসাই ডিজিটাল মুদ্রা চালু করা হবে এক বড় চ্যালেঞ্জ। এমন যদি হয়, তাহলে এক সময় কাগুজে টাকার নোট আর কারো হাতে নেই। কেন্দ্রীয় ব্যাংক আর টাকা ছাপছে না। অনেকটা বিকাশ বা নগদের ডিজিটাল ওয়ালেটে টাকা থাকা ডিজিটাল মুদ্রার মত। কৃষক, শ্রমিক, দিনমজুরসহ সকল শ্রেণীর মানুষ ডিজিটাল মুদ্রায় লেনদেন করছে। এমন দিন বাংলাদেশেও আসতে যাচ্ছে নিকট ভবিষতে।
২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল তেমনি একটি প্রস্তাব রেখেছেন। যদিও এটি চালু করার আগে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংককে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলছেন, ধীরে ধীরে পুরোপুরি নগদ টাকার স্থানে ডিজিটাল মুদ্রা চালুর দিকে যাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশের প্রায় ৬০ ভাগ পূর্ণ বয়স্ক মানুষ ব্যাংকিং সেবার বাইরে থাকলেও মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের কল্যাণে এখন প্রায় ১৫ কোটি মানুষ ডিজিটাল লেনদেন করছে। ডিজিটাল কারেন্সি চালুর বিষয়টিকে স্বাগত জানালেও সকল মানুষকে এর অধীনে আনাটা একটি বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক এই গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ।
বিশ্বে ক্রমশই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ভার্চুয়াল মুদ্রা। যার উপর কোন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। বাংলাদেশেও যা বৈধ নয়। এই ঝুঁকি মোকাবেলায় বিশ্বের অনেক দেশই তাই নিজস্ব মুদ্রার ডিজিটাল সংস্করণ চালু করেছে।