দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম
ক্যাসিনো থেকে মাসে ফারুক পেতেন ৭০ লাখ, মেনন ৫ লাখ
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ অবৈধ ক্যাসিনো থেকে প্রতি মাসে কমপক্ষে ৭০ লাখ টাকা চাঁদা নিতেন যুবলীগের অব্যাহতি পাওয়া চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী। আর রাশেদ খান মেনন পেতেন মাসে ৫ লাখ টাকা।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানায়, রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে এই তথ্য দিয়েছেন ইসমাইল হোসেন সম্রাট। তবে তারা গণমাধ্যমের সামনে কথা বলতে রাজি হননি। এসব অভিযোগের তদন্ত দাবি করেছেন মেনন নিজেই।
গ্রেপ্তার হওয়া মহানগর যুবলীগের বহিস্কৃত নেতা সম্রাট ও আরমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা জানান, কমপক্ষে ৭ টি ক্যাসিনো থেকে ১০ লাখ করে প্রতিমাসে ৭০ লাখ টাকা চাদা নিতেন যুবলীগের অব্যহতি পাওয়া চেয়ারম্যান ওমর ফরুক। এছাড়া টাকার বিনিমিয়ে যুবলীগের পদ বিক্রির প্রমান পেয়েছে গোয়েন্দারা। র্যাব এর হাতে গ্রেপ্তার হওয়া মোহাম্মদপুরের কাউন্সিলর রাজীবকেও ১ কোটি ২০ লাখ টাকার বিনিময়ে যুবলীগের পদ দিয়েছিলেন ওমর ফারুক।
সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেননের বিরুদ্ধেও উঠেছে ক্যাসিনো থেকে চাঁদা নেয়ার অভিযোগ। এমনকি নির্বাচনের আগে ৭০ লাখ টাকা নিয়েছিলেন খালেদের কাছ থেকেও। নির্বাচনের পর খালেদের কাছে আবারও ২০ লাখ টাকা চেয়েছিলেন মেনন। যদিও তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ, তদন্তের দাবি জানিয়েছেন রাশেদ খান মেনন।
সম্প্রতি ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান শুরুর পর একে একে বেরিয়ে আসে এই সম্রাজ্যের গড ফাদারদের নাম। আলোচনায় আসে যুবলীগের অব্যাহতি পাওয়া চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী ও সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেননের নাম।