আশুলিয়াশিক্ষা-সাহিত্যস্থানীয় সংবাদ
ক্যাম্পাস খুললেও অজানা কারণে বহাল ছাত্র সংগঠন বন্ধের নিষেধাজ্ঞা
ধীরা ঢালি, গবি সংবাদদাতা: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোনকিছু বন্ধ থাকতে পারে না। ক্লাস রুমই আসলে একমাত্র পড়াশোনার জায়গা নয়। ক্লাস রুমে শিক্ষার্থীরা যে শিক্ষা লাভ করে, তার বাস্তবিক প্রয়োগ ঘটে অন্যান্য কার্যক্রমে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে। যার শুরুটা হয় শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সংগঠনগুলোর মাধ্যমে। ছাত্র শিক্ষার্থীদের সংগঠন যদি বন্ধ থাকে তাহলে তাদের বিকশিত হওয়ার সুযোগ মুখ থুবড়ে পড়বে। যেহেতু ক্যাম্পাস চালু হয়েছে। অবশ্যই ছাত্র সংগঠন বন্ধের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হবে। শুধু ক্যাম্পাসের প্রবেশ দ্বার খোলা থাকলেই শিক্ষার্থীদের জ্ঞান এবং মননের উৎকর্ষ সাধন হবে না বরং এরসাথে সম্পৃক্ত সকল প্রতিষ্ঠানকেও উন্মুক্ত হতে হবে এমনটাই বলছিলেন, গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান ও সমাজকর্ম বিভাগের বিভাগীয় প্রধান শহীদ মল্লিক।
২০২০ সালের মার্চ মাস হতে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার পর গত ৪ অক্টোবর থেকে ক্যাম্পাসে স্বশরীরে শিক্ষা কার্যক্রম চালু হয়৷ তবে বিশেষ কোনো কারণ ছাড়াই করোনাকালীন সময়ে ছাত্র সংগঠন বন্ধের নিষেধাজ্ঞা এখনো বহাল রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে ।
এ বিষয়ে সমাধান চেয়ে অগ্নিসেতু সাংস্কৃতিক পরিষদের সভাপতি মঞ্জুরুল মিঠু বলেন, “বছর দেড়েক পরে ক্যাম্পাস খুললেও বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠনগুলোর কার্যক্রম নিষিদ্ধ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের সুসংগঠিত ও সচেতন করতে, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক মনন তৈরি করতে অগ্নিসেতু সাংস্কৃতিক পরিষদ সহ বেশ কয়েকটি সংগঠন কাজ করে আসছিলো। নিষেধাজ্ঞার জন্য এই কার্যক্রমগুলো বন্ধ রয়েছে। করোনাকালীন সময়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের যে মানসিক অবসাদ তৈরি হয়েছে সেখান থেকে উঠে আসার জন্য অতি দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সংগঠনের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়া এখন সময়ের দাবি।”
মঞ্জুরুল মিঠুর সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে গণ বিশ্ববিদ্যালয় মিউজিক কমিউনিটির(জিবিএমসি) সাধারণ সম্পাদক আবু মোহাম্মদ রুইয়াম বলেন, “আসলে বিশ্ববিদ্যালয়ের যতগুলো সংগঠন আছে, প্রায় প্রত্যেকটি সংগঠনই বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক কাজ করে। নিজেদের কাজের মাধ্যমে গণ বিশ্ববিদ্যালয়কে রিপ্রেজেন্ট করে। আমি আমাদের “গণ বিশ্ববিদ্যালয় মিউজিক কমিউনিটি (জিবিএমসি)” র কথাই বলি। এই পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা ৩ টি বড় মিউজিক্যাল প্রোগ্রামসহ বেশ কয়েকটি প্রোগ্রাম করেছি যেগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সারা দেশের বিভিন্ন মহলে প্রশংসা কুড়িয়েছে।আমরা ভবিষ্যতে গণ বিশ্ববিদ্যালয় এর সাংস্কৃতিক অঙ্গন নিয়ে কাজ করতে চাই। বিশ্ববিদ্যালয় কে সারাদেশসহ বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে চাই। আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এর কাছে জিবিএমসি সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সাংস্কৃতিক এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এর নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়ার অনুরোধ জানাই।”
ছাত্র সংগঠনগুলো কবে নাগাদ খোলা হবে এমন প্রশ্নের জবাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডাঃ দেলোয়ার হোসেন (ভারপ্রাপ্ত) বলেন, “আমি কয়েকদিন যাবত এখানে নতুন দায়িত্ব পালন করছি। এ বিষয়ে আমি অবগত নই। ছাত্র সংসদ বন্ধের ব্যাপারে আমি জানতাম,তাদের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু অন্যান্য সংগঠন কেন বন্ধ আছে তা আমি অবগত নই। তবে আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সঙ্গে কথা বলে তাদের সিদ্ধান্ত জানাবো।