ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক:কোভিড ১৯ পরীক্ষার প্রচলিত পদ্ধতিতে নমুনা সংগ্রহ থেকে শুরু করে চূড়ান্ত ফল পেতে বেশ খানিকটা সময় লাগে। নমুনা সংগ্রহ থেকে ফল পাওয়া পর্যন্ত সময়ের এ ব্যবধান কমিয়ে আনতে কাজ করছেন নেদারল্যান্ডসের একদল বিজ্ঞানী। গবেষণার অংশ হিসেবে একদল মৌমাছিকে করোনা শনাক্তের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এ প্রচেষ্টা সফল হলে নমুনার গন্ধ শুঁকেই কোভিড ১৯ শনাক্ত করতে পারবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এসব মৌমাছি।
নমুনার গন্ধ শুঁকে করোনা শনাক্তের এ বিশেষ প্রশিক্ষণ চলছে নেদারল্যান্ডসের ওয়াজেনিনজেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জৈব-পশুচিকিৎসা গবেষণাগারে। এ গবেষণার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন ভাইরাসবিদ্যার অধ্যাপক উইম ভ্যান দের পোয়েল। তিনি জানিয়েছেন, মৌমাছিগুলোকে আক্রান্তদের নমুনা শনাক্ত করতে দেওয়া হয়। এ কাজের সময় তারা নিজ থেকেই তাদের স্ট্র–র মতো লম্বা ও সূক্ষ্ম শুঁড় প্রসারিত করে নেয়।
সাধারণ পদ্ধতিতে যেখানে করোনা শনাক্ত করতে কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েক দিন পর্যন্ত সময় লাগে সেখানে মৌমাছির মাধ্যমে মাত্র কয়েক সেকেন্ডেই টেস্টের ফল জানা যায়।
পোকামাকড় দিয়ে গন্ধ শুঁকে কোনও জিনিস শনাক্ত করার ঘটনা অবশ্য এটাই প্রথম নয়। বেলজিয়ামের ঘেন্ত ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক দির্ক দে গ্রাফ জানান, ১৯৯০-এর দশকে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর এ পদ্ধতির সফল পরীক্ষা চালায়। তখন মূলত বিস্ফোরক ও বিষাক্ত জিনিস শনাক্ত করতে পোকামাকড় ব্যবহারের এ কৌশল নেওয়া হয়।
অধ্যাপক দির্ক দে গ্রাফ জানান, নিরাপদে বিস্ফোরক শনাক্তকরণ ছাড়াও মেডিক্যাল পরীক্ষা নিরীক্ষাতেও প্রজাপতি, মৌমাছি ও ভিমরুলের ব্যবহার রয়েছে। সূত্র: রয়টার্স।
/একে