দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম
‘কোনো পুলিশ সদস্যের সঙ্গে অপরাধীর সম্পর্ক থাকলেই ব্যবস্থা’’
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ যদি কোনো পুলিশ সদস্যের সঙ্গে অপরাধীর সম্পর্ক থেকে থাকে তবে তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজারবাগ বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মাসিক অপরাধ সভায় এ কথা বলেন তিনি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, দেশের প্রচলিত আইন শতভাগ অনুসরণ করে দায়িত্ব পালন করলে পুলিশ বাহিনীর প্রতি মানুষের আস্থা ও ভালবাসা বৃদ্ধি পাবে। কোনো পুলিশ সদস্যের আচরণগত কারণে যেন আমাদের ভাবমূর্তি নষ্ট না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
করোনা পরিস্থিতি আমরা কাটিয়ে উঠেছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন আমাদের পুরোদমে কাজ করতে হবে। আমাদের যে ডাটাব্যাজ আছে তাতে অপরাধীদের সম্পূর্ণ তথ্য সরবরাহ করতে হবে। কোনো অফিসার যদি তথ্য সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয় তবে তাকে তদন্ত কাজে থেকে বিরত রাখা হবে।
মাদকসেবীদের বিষয়ে শফিকুল ইসলাম বলেন, মাদক নির্মূল করতে হলে মাদকসেবীদের তালিকা করতে হবে। মাদক সেবীদের চিহ্নিত করে তাদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে হবে। তারা যেন স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে সে জন্য তাদের সবরকম সহযোগিতা করতে হবে। প্রয়োজনে তাদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে সংশোধনাগারে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে। এরপরও মাদকসেবীরা সংশোধন না হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ সময় আগস্ট ২০২০ মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন কমিশনার।
ডিএমপির ক্রাইম বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে গুলশান বিভাগ, ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে গোয়েন্দা তেজগাঁও বিভাগ এবং ট্রাফিক বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে গুলশান বিভাগ।
সভায় ডিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) মীর রেজাউল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশনস্) কৃষ্ণ পদ রায়সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
/এন এইচ