দেশজুড়ে
কেরানীগঞ্জে নিখোঁজ মাদ্রাসা ছাত্রের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার, সহপাঠি আটক
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধিঃ কেরানীগঞ্জে অপহরণের ৩ দিন পর মোঃ মোকসেদুল মমিন (১৭) নামে মাদ্রাসাছাত্রের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।এঘটনায় নিহতের সহপাঠি মোঃ ফাহিমকে (১৯) আটকের পর তার দেয়া তথ্যমতে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টার দিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন রতনের খামার এলাকায় একটি নির্জণ মাঠে বালুচাপা দেয়া অবস্থায় তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
মোকসেদুল মমিন একই থানাধীন চুনকুটিয়া এলাকায় চানমিয়া ওহাবুল উলুম মাদ্রাসার ছাত্র। ফাহিমও ঐ একই মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহতের মা জানান, গত সোমবার দুপুরে মোকসেদুল মমিন বাসা থেকে বের হবার পর নিখোঁজ হয়। এর পরদিন মোকসেদুলের মোবাইলে ফোন দিয়ে তার পিতাকে জানায় যে, তার ছেলেকে অপহরন করা হয়েছে এবং জীবিত অবস্থায় পেতে হলে ২ কোটি টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে।পরে মোকসেদুল মমিনের পিতা সাহাবুদ্দিন কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি জিডি করেন। পরে তিনি দুই দফায় অপহরনকারীদের বিকাশের মাধ্যমে মোট ১০ হাজার টাকা প্রদান করে।মোকসেদুল মমিনের পিতা বিষয়টি র্যাবকে জানালে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে অপহরনকারী ও মোকসেদুল মমিনের সহপাঠি ফাহিম (১৭)কে পুরান ঢাকার নবাবপুর রোড হতে আটক করে।
আসামী ফাহিমের স্বীকারোক্তি মোতাবেক মোকসেদুল মমিনের মরদেহ উদ্ধার করা হয় এবং হত্যাকান্ডে ব্যবহার করা একটি রক্তাক্ত চাকু উদ্ধার করা হয়।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাছুম আহমেদ বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত মর্মান্তিক। এঘটনায় থানায় একটি হত্যামামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ইতোমধ্যে হত্যাকান্ডে জড়িত একজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।