কৃষিদেশজুড়েশিল্প-বানিজ্য

“কৃষিশুমারি ২০১৯” উদ্বোধন

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ প্রতি দশ বছর অন্তর কৃষিশুমারি অনুষ্ঠিত হয়। ৯ জুন থেকে ২০ জুন পর্যন্ত সময়ে মাঠ পর্যায়ে শুমারির তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

রোববার (০৯ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোয় (বিবিএস) এক শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় কৃষিশুমারি ২০১৯ উদ্বোধন করেন তিনি। এটি দেশব্যাপী বৃহৎ আকারে পরিচালিত অন্যতম পরিসংখ্যানিক কার্যক্রম।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সুচারুরূপে ও সুন্দরভাবে কাজ সম্পন্ন করা হবে, যাতে করে এটা বিশ্বমানের একটি কাজ হয় এবং আমরা যেন গর্ববোধ করতে পারি। এজন্য আমাদের সরকারের যা যা করা দরকার, আর্থিক, সাংগঠনিক, প্রাতিষ্ঠানিক– সবকিছু প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে দেবেন। তিন মাসের মধ্যে শুমারির প্রাথমিক ফল এবং ছয় মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ ফল জানিয়ে দেওয়া হবে। এই শুমারিতে কোনো অসঙ্গতি চোখে পড়লে তা তুলে ধরার জন্যও অনুরোধ জানান পরিকল্পনামন্ত্রী।

এম এ মান্নান বলেন, ‘আমাদের অর্থনৈতিক স্বাস্থ্য বোঝার জন্য কিছুদিন পরপর শুমারি করতে হয়। আমরা জনশুমারি করি, এটা অর্থনৈতিক শুমারি। এখান থেকে বুঝতে পারবো, কত ধান, কত গম, পাট, ফল, মাছ, গরু, মোষ, ভেড়া, হাস, মুরগি, টার্কি-এসব বিষয় সম্পর্কে আমরা জানতে পারবো। গোটা অর্থনীতি তার অবস্থান কেমন, তাও বুঝতে পারবো। আগেরটার সঙ্গে মিলিয়ে দেখবো, বাড়ছে না কমছে। বাড়লেও আনুপাতিক হারটা কী হারে বাড়ছে, এসব’।

কৃষিশুমারি প্রকল্পের পরিচালক (যুগ্মসচিব) জাফর আহাম্মদ খান জানান, কৃষিশুমারি পরিচালনার মাধ্যমে কৃষি খামার সংখ্যা, আকার, ভূমির ব্যবহার, কৃষির প্রকার, শস্যের ধরণ, চাষ পদ্ধতি, গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগির সংখ্যা, মৎস্য উৎপাদন ও চাষাবাদ সংক্রান্ত তথ্যাদি এবং কৃষি ক্ষেত্রে নিয়োজিত জনবল সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়। এ তথ্য-উপাত্ত কৃষি ক্ষেত্রের উন্নয়ন কৌশল নির্ধারণ এবং অগ্রগতি পর্যবেক্ষণে বেঞ্চমার্ক তথ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়। পরিসংখ্যান আইন, ২০১৩ অনুযায়ী জনশুমারি এবং অর্থনৈতিক শুমারির পাশাপাশি কৃষিশুমারি (শস্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ) পরিচালনা করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

এদেশে ১৯৬০ সালে প্রথমবারের মতো নমুনা আকারে কৃষিশুমারি অনুষ্ঠিত হয়। স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে ১৯৭৭ সালে প্রথম কৃষিশুমারি অনুষ্ঠিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৮৩-৮৪, ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে কৃষিশুমারি অনুষ্ঠিত হয়। ষষ্ঠবারের মতো দেশে কৃষিশুমারি ২০১৯ পরিচালনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

কৃষিশুমারিতে একজন প্রধান শুমারি সমন্বয়কারী, একজন জাতীয় শুমারি সমন্বয়কারী, একজন অতিরিক্ত জাতীয়  শুমারি সমন্বয়কারী, ১০ জন বিভাগীয় শুমারি সমন্বয়কারী, ৯০ জন জেলা শুমারি সমন্বয়কারী (ডিসিসি), ৪৯২ জন উপজেলা শুমারি সমন্বয়কারী (ইউসিসি), ২ হাজার ১২৭ জন জোনাল অফিসার, ২৩ হাজার ১৬৫ জন সুপারভাইজার এবং ১ লাখ ৪৪ হাজার ২১১ জন তথ্য সংগ্রহকারী কাজ করছেন।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) বিকাশ কিশোর দাস, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহারিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. কৃষ্ণা গায়েন।

Related Articles

Leave a Reply

Optický klam Najdete psa za 10 Hádanka pro moderní Einsteiny: Jak správně spočítat zmrzlinu Hádanka: najděte koně mezi soby Test IQ: Musíte najít sněhuláka za 12 Jaký je IQ dřevorubců? Velmi jednoduchý
Close
Close