ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ কদিন পরেই পবিত্র ঈদ-উল-আজহা। মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের বড় ধর্মীয় উৎসবের একটি। এদিনটিতে ব্যস্ততা তুলনামূলকভাবে একটু বেশিই থাকে। কুরবানিকৃত পশুর মাংস কাটা, বিলি-বন্টন, রান্না, অতিথি আপ্যায়ন- কতকিছু নিয়েই ব্যস্ত থাকতে হয় সারাদিন। কুরবানির দিনটা তাই রান্নাঘরের জন্যই বেশি বরাদ্দ থাকে। তাই আগে থেকে কিছু কাজ গুছিয়ে রাখলে ঈদের দিনটা সহজ হবে। জেনে নিন কোন কাজগুলো এগিয়ে রাখবেন-
কুরবানির ঈদে মাংসের বিভিন্ন জিভে জল আনা পদ তৈরি হয়। কিন্তু সেজন্য চাই প্রয়োজনীয় মশলাপাতি। যেমন ধরুন কাবাব মসলা, গরম মশলা ইত্যাদি তৈরি করে এয়ার টাইট বক্সে রেখে দিন। পেঁয়াজ, আদা, রসুন, জিরা আগে থেকেই কেটে বেটে/ ব্লেন্ড করে নিন।
মশলা ব্লেন্ড করার পরে তা সংরক্ষণ করা আরেক হ্যাপা। একসঙ্গে অনেকটা বাটা মশলা রাখলে পরবর্তীতে তার থেকে পরিমাণমতো নেয়াটা মুশকিল হয়ে পড়ে। তাই ব্লেন্ড করা মশলা ছোট ছোট বক্সে রেখে বরফ করে এরপর সেগুলোকে জিপ-লক ব্যাগ বা পলি ব্যাগে রেখে দিতে পারেন। এতে প্রয়োজনের সময় ১/২টা মসলার কিউব দিয়ে সহজেই তরকারি রান্না সেরে ফেলতে পারবেন। আস্ত গরম মশলাও কিনে হাতের কাছে রাখুন।
রান্নাঘরের দা, বটি, ছুরিতে ধার আছে কি না পরখ করে নিন। কারণ তা ধারালো না হলে কাজে অযথাই দেরি হবে। ধার না থাকলে সেগুলো ধার করিয়ে নিন। তবে সাবধান, শিশুদের চোখের আড়ালে রাখুন।
ঈদের কাজের মধ্যে একটি হলো অতিথি আপ্যায়ন। আর সব সময়ের ব্যবহৃত বাসন-কোসনের বদলে অতিথির জন্য বরাদ্দ থাকে তুলে রাখা বাসন-কোসন। তাই সেগুলো আগেভাগেই ধুয়ে, মুছে রেখে দিন। কাজ অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে।
কুরবানির ঈদে কিছু মাংস অবশিষ্ট থেকে যায়, যা পরবর্তীতে খাওয়ার জন্য সংরক্ষণ করা হয়। তাই ফ্রিজ পরিষ্কার করে কিছু জায়গা খালি করে রাখুন। ফ্রিজে মাংস রাখার আগে একবার ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখাটাই উত্তম।
ব্লিচিং পাউডার কিনে রাখুন, কুরবানির পরে রান্নাঘরের দুর্গন্ধ দূর করতে এটি কাজে লাগবে।
বাসায় সব সময় বড় হাঁড়িতে রান্না হয় না নিশ্চয়ই। তবে উৎসবের সময়ে দরকার পড়ে বড় হাঁড়ি-পাতিল। তাই সেগুলোও পরিষ্কার করে রাখুন। আর কেনার দরকার হলে আগেভাগেই কিনে নিন।