কিশোরীকে অপহরণ ও গণধর্ষণ, আশুলিয়ায় গ্রেফতার ৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নরসিংদীর মাধবদীতে ১৩ বছরের এক কিশোরীকে অপহরণের পর নয়দিন আটকে রেখে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে অপহৃত কিশোরীকে।

রোববার (১৩ অক্টোবর) দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে অপহৃত কিশোরীকে নয়দিন পর আশুলিয়ার গোমাইল উত্তর পাড়ার একটি বাড়ি থেকে অপহৃত কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হল, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানার সাতগ্রাম গ্রামের মধু মিয়ার ছেলে রুবেল (২৬), ময়মনসিংহ সদর থানার রহমতপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে মো. ফয়সাল মিয়া (২০), লালমনিরহাট সদরের চরকুলাঘাপ গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে আছাদুল ইসলাম ও মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের চালা গ্রামের নিশাত মোল্লার ছেলে শাকিল মোল্লা।

তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অপহরণকারী দলের মূল হোতা সুজনকে (২৭) নারায়ণগঞ্জের গাউছিয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়। সুজন নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানার দেবাই গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছেলে।

মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু তাহের দেওয়ান জানান, ৫ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই কিশোরীকে মাধবদীর দরগাবাড়ি এলাকার সড়ক থেকে মাইক্রোবাসে অপহরণ করে একটি চক্র। চারদিন পর ৯ অক্টোবর মেয়েটির বাবার মোবাইল ফোনে কল করে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। অন্যথায় মেয়েকে মেরে ফেলার বলে হুমকি দেয়া হয়।

গত ১২ অক্টোবর এ ঘটনায় মাধবদী থানায় মামলা দায়ের করেন মেয়েটির বাবা। পুলিশ মুক্তিপণ দাবি করা মোবাইল নাম্বার ট্র্যাকিং করে অবস্থান নিশ্চিত হয়। পরে রুবেল নামে অপহরণকারী চক্রের এক সদস্য মুক্তিপণের টাকা নিতে আশুলিয়ার নরসিংহপুর এসে পুলিশের হাতে আটক হয়।

নির্যাতনের শিকার কিশোরীকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অপহরণ ও ধর্ষণ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।