ভ্রমন
কাশ্মীর ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা উঠেছে
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: কাশ্মীরে দুই মাসেরও বেশি সময় পরে পর্যটকদের ওপর ভ্রমণের বিধিনিষেধ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) থেকে পর্যটকরা আবারও কাশ্মীর ভ্রমণে যেতে পারবেন।
জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদার অবলুপ্তির ঘোষণা করার আগে সরকার পর্যটকদের ও তীর্থযাত্রীদের এই রাজ্য ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যপাল মঙ্গলবার ভ্রমণের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার নির্দেশ দেন।
সম্ভাব্য সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে কর্তৃপক্ষ সতর্কতা জারি করার পরেই আগস্টের শুরুতে হাজার হাজার পর্যটক, তীর্থযাত্রী, শ্রমিক ও অন্যান্য রাজ্যের শিক্ষার্থীদের জম্মু ও কাশ্মীর ছেড়ে চলে যেতে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।
পর্যটন দফতরের কর্মকর্তাদের মতে, পর্যটন মৌসুমে সেরা সময় হওয়ায় উপত্যকায় ওই সময় প্রায় ২০ হাজার থেকে ২৫ হাজার পর্যটক ছিলেন।
কেন্দ্র সরকার ৩৭০ অনুচ্ছেদ সরিয়ে বিশেষ মর্যাদা বাতিল ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা আগেই টেলিফোন এবং ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং অনেক এলাকায় জনসাধারণকে বাড়ি থেকে বেরোতেও দেয়া হয়নি।
কেন্দ্র সরকার ব্যাপক বিধিনিষেধ আরোপ করে উপত্যকায়। গ্রেফতার করা হয় রাজনীতিবিদদেরও। মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত সেনা।
কয়েকটি বিধিনিষেধ ধীরে ধীরে শিথিল করা হয়েছে, তবে কাশ্মীর উপত্যকায় মোবাইল এবং ইন্টারনেট পরিষেবা এখনও সেভাবে চালু হয়নি। কাশ্মীরের পর্যটনই এ অঞ্চলের অর্থনীতির মেরুদণ্ড। গত আগস্টের পর থেকে উপত্যকাটি কার্যত পর্যটকবিহীন।
সোনমার্গ লাদাখ অঞ্চলের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত। মধ্য কাশ্মীরের গান্ডেরবাল জেলার এই এলাকাটি অসাধারণ সুন্দর নৈসর্গিক দৃশ্যের জন্য। সাধারণত পর্যটকদের সবচেয়ে বেশি ভিড় দেখা যায় এখানেই। আগস্টের পর থেকে ভুতুড়ে শহরের মতো হয়ে রয়েছে এলাকাটি। বেশিরভাগ হোটেল খাঁ খাঁ করছে, রেস্তোঁরাগুলির ঝাঁপ বন্ধ, বন্ধ সব দোকান।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, জুনে ১ লাখ ৭৪ হাজার পর্যটক কাশ্মীর সফর করেছেন এবং জুলাই মাসেই ৩ হাজার ৪০৩ জন বিদেশি পর্যটকসহ ১ লাখ ৫২ হাজার মানুষ ভূস্বর্গ ভ্রমণে আসেন।