দেশজুড়ে
কারখানার বায়ুদূষণে ঘুমাতে হয় মাস্ক পরে
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার আন্দারমানিক এলাকায় একটি কারখানা থেকে নির্গত বায়ুদূষণের কারণে মাস্ক পরে ঘুমাতে হয় এলাকাবাসীকে। ওই এলাকায় অবস্থিত এমএসএ টেক্সটাইলস লিমিটেড ও এমএসএ স্পিনিং লিমিটেড কারখানার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এলাকাবাসী জানান, আন্দারমানিক এলাকায় একই মালিকানাধীন এমএসএ টেক্সটাইলস ও এমএসএ স্পিনিং লিমিটেড কারখানা রয়েছে। ওই কারখানা ডাস্ট কালেক্টর এগজস্ট পাইপ লাইনটি স্থাপন করা হয়েছে বসতবাড়ির পাশে। ফলে ওই ডাস্ট কালেক্টর এগজস্ট পাইপ দিয়ে নির্গত সব ডাস্ট ছড়িয়ে পড়ছে বসতবাড়িতে। এতে ভোগান্তিতে রয়েছে শতশত মানুষ। এসব ডাস্টের কারণে নাক ও মুখে মাস্ক অথবা কাপড় বেঁধে চলতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। এছাড়া খাবার খাওয়ার সময় ডাস্ট এসে পড়ছে খাবারে। প্রচুর ডাস্টের কারণে রাতে এলাকাবাসীকে মাস্ক পরে ঘুমাতে হচ্ছে।
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের সফিপুর বাজার থেকে দক্ষিণ দিকে আন্দারমানিক এলাকায় এমএসএ টেক্সটাইলস ও এমএসএ স্পিনিং লিমিটেড কারখানা অবস্থিত। কারখানার দক্ষিণ পাশে কয়েকটি বসতবাড়ির পাশে নিচু করে স্থাপন করা হয়েছে ওই কারখানার ডাস্ট কালেক্টর এগজস্ট পাইপ লাইন। ওই পাইপ দিয়ে নির্গত হচ্ছে তুলার মতো ডাস্ট। যা ছড়িয়ে পড়ছে আশপাশের এলাকায়। এছাড়া ওইসব ডাস্ট ঘরের ভেতর ঢুকে পড়ছে। এতে বায়ু ও পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। এলাকাবাসীকে ভোগান্তির মধ্যে থেকেই জীবনযাপন করতে হচ্ছে।
কারখানার সিনিয়র অফিসার (এডমিন) আরজু মিয়া সংবাদমাধ্যমে বলেন, এলাকাবাসীর সমস্যা হলে কারখানার ডাস্ট কালেক্টর এগজস্ট পাইপ লাইনটি সরিয়ে অন্য স্থানে স্থাপন করা হবে। পরিবেশ অধিদফতরের কর্মকর্তা কারখানা পরিদর্শক করে গেছেন এবং সাত দিনের মধ্যে পাইপ লাইনটি সরিয়ে নিতে বলেছেন।
এ ব্যাপারে গাজীপুর পরিবেশ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক ও রিসার্চ অফিসার আশরাফ উদ্দিন সংবাদমাধ্যমে বলেন, কারখানাটিতে পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র আছে। তবে তারা পরিবেশ অধিদফতরের শর্ত ভঙ্গ করে পরিবেশ দূষণ করে আসছে। তাই কারখানার কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করা হয়েছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে কারখানার ডাস্ট কালেক্টর এগজস্ট পাইপ লাইনটি সরিয়ে নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তা না হলে ছাড়পত্র বাতিল করে কারখানার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।