ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় নির্দেশ অমান্য করে প্রকাশ্যে থুতু ফেলায় বৃহস্পতিবার আরও ৩৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এ নিয়ে গত তিনদিনে থুতু ফেলার জন্য মোট ৮১ জনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ।
এদিকে, করোনা ঠেকাতে দেশজুড়ে নানা সচেতনাতামূলক আইন চালু করা হয়েছে। এদের একটি হচ্ছে থুথু ফেলা আইন।
এ আইনে যেখানে সেখানে কফ বা থুথু ফেলার অপরাধে গ্রেফতার এমনকি জেল জরিমানারও বিধান রয়েছে। এই পুরনো আইনটি দীর্ঘদিন পর প্রয়োগ করতে শুরু করেছে ভারত। এ সংক্রান্ত বিধি মানতে বাধ্য করা হচ্ছে দুর্যোগ মোকাবিলা আইনের ৫১বি ধারা অনুযায়ী।
হিন্দুস্থান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত ১৫ই এপ্রিল একটি নির্দেশনা জারি করে। তাতে বলা হয়, জনসমাগমস্থলে থুতু ফেলা শাস্তিমূলক অপরাধ। সেই নির্দেশনায় মদ, পান মসল্লা, তামাক ইত্যাদি বিক্রিতেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। ভারতে বহু মানুষ পান, তামাক চিবিয়ে খান আর যেখানে সেখানে থুতু ফেলেন। থুতু থেকেই করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি।
তাই থুতু ফেলা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। ওই একই বিধির আওতায় রাস্তায় বের হলেই মাস্ক পরাও আবশ্যিক করা হয়েছে। কলকাতায় গত তিনদিনে মাস্ক না পরে রাস্তায় বের হওয়ার জন্য ৫১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এছাড়া বিনাকারণে লকডাউনের মধ্যে রাস্তায় ঘোরাঘুরি করায় শত শত মানুষকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে গাড়ি। শুরুর দিকে স্বাস্থ্যবিধি না মানার দায়ে ভারতীয় দণ্ডবিধির কয়েকটি ধারা অনুযায়ী গ্রেপ্তার করা হচ্ছিল। কিন্তু এখন দুর্যোগ মোকাবিলা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, যা দণ্ডবিধির থেকেও কঠিন। আগে ধরা পড়লে সঙ্গে সঙ্গেই জামিন পাওয়া যাচ্ছিল। কিন্তু এখন ধরেই থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। জামিন নিতে হচ্ছে সেখান থেকেই।
/আরএম