ব্যাংক-বীমাশিল্প-বানিজ্য
করোনা মহামারিতে চরম দারিদ্র্যে ১০ কোটি মানুষ: বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: করোনা মহামারি বিশ্বের প্রায় ১০ কোটি মানুষকে চরম দারিদ্র্যের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে-বলে জানান বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট মালপাস। গতকাল বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) গণমাধ্যম গার্ডিয়ানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডেভিড মালপাস এ কথা বলেন। এর আগে সংস্থাটি বলেছিল, বিশ্বের ৬ কোটি মানুষকে চরম দারিদ্র্যের মুখে ঠেলে দেবে করোনা মহামারি। তবে নতুন অনুমিত পরিসংখ্যানে বলা হচ্ছে, এই সংখ্যা ৭ কোটি থেকে ১০ কোটি হতে পারে।
ডেভিড মালপাস বলেন, মহামারি আরও খারাপ হতে থাকলে বা চলতে থাকলে এই সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। তিনি আরও বলেন, কোভিড-১৯–এর কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকট দরিদ্র দেশগুলোকে আরও খারাপভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। ঋণদাতা দেশগুলো গরিব দেশগুলোর ঋণ কর্মসূচি স্থগিত করেছে, যা ঝুঁকি তৈরি করছে। এটি ২০০৮ সালের আর্থিক সংকটের এবং লাতিন আমেরিকার জন্য আশির দশকের ঋণ সংকটের চেয়েও খারাপ পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে।
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট বলেন, তাৎক্ষণিক সমস্যার একটি হলো দারিদ্র্য। একেবারে কিনারায় দাঁড়িয়ে মানুষ। গত ২০ বছরে দারিদ্র্য বিমোচনে ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করেছে বিশ্ব। বিশ্ব চরম দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে এসেছে। অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হওয়ায় মানুষের আবার চরম দারিদ্র্যের মধ্যে ফিরে আসার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। সংকট আঘাত হানায় বৈষম্য খুব স্বতন্ত্র হয়ে উঠেছে। উন্নত দেশগুলোর সহায়তা কর্মসূচি উন্নত দেশগুলোকে লক্ষ্য করেই করা হয়েছে। এতে যে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে, তা হলো বৈষম্য আরও বাড়বে। মন্দা উন্নত অর্থনীতিগুলোর তুলনায় উন্নয়নশীল বিশ্বে আরও খারাপভাবে পড়বে।
শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট জি-সেভেন এই বছর শেষ হওয়া ঋণ প্রদানের সময় বাড়িয়ে ২০২১ সালের শুরুতে নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবছে—এ সিদ্ধান্তে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও ডেভিড মালপাস বলেন, আরও একটি মৌলিক পদ্ধতির প্রয়োজন রয়েছে। এর আগে মে মাসে মালপাস বলেন, বিশ্বের ৭৩টি দরিদ্রতম দেশের জন্য ঋণসেবা স্থগিতকরণ উদ্যোগে অংশ নিতে বাণিজ্যিক ঋণদাতাদের অনীহা দেখে তিনি হতাশ।
দরিদ্র দেশগুলোকে সংকট মোকাবিলায় সহায়তায় বিশ্বব্যাংক গ্রুপ ১৬০ বিলিয়ন ডলারের অনুদান দেবে, সে লক্ষ্যে অর্থ সংগ্রহ করেছে বিশ্বব্যাংক। তবে উন্নয়নশীল দেশের অবকাঠামো বৃদ্ধি, স্বাস্থ্য–শিক্ষাব্যবস্থাসহ নানা দিকের উন্নয়নে ব্যয় ট্রিলিয়ন ডলারের মধ্যে চলে যাবে।