দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম
করোনা ঝুঁকিতেই ঢাকা-১০ উপনির্বাচনের ভোট আজ
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটারদের জন্য হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রেখেছে ইসি।করোনাভাইরাস নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএমে ঢাকা-দশ আসনের উপনির্বাচনে ভোট হচ্ছে আজ শনিবার। জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনায় রেখে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটারদের হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করেছে নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি ভোট দেয়ার আগে-পরে হাত জীবাণুমুক্ত করতে বন্দোবস্ত করা হয়েছে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের। যদিও ইভিএমে ভোটগ্রহণে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি দেখছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
ভোটের আগের দিন ইভিএম স্থাপন, বুথ তৈরিসহ কেন্দ্র তৈরিতে চলছে ব্যস্ততা। এই আয়োজনের মধ্যেও সবার মনের কোণে করোনাভাইরাস-আতঙ্ক। ঝুঁকি এড়াতে তাই মুখোশ, দস্তানায় ঢাকা অনেকের হাত-মুখ।নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা জানান, তাদের জন্য ব্যক্তিগত সুরক্ষা উপাদান সরবরাহ করেছে কমিশন।
নির্বাচনের মাধ্যমে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটারদের জন্য রাখা হয়েছে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা। ভোট দেয়ার আগে-পরে হাত জীবাণুমুক্ত করার বন্দোবস্তও রয়েছে। এজন্য প্রথমবারের মত হ্যান্ডওয়াশ, হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ বিভিন্ন ধরনের সুরক্ষা সরঞ্জাম নিশ্চিত করছে নির্বাচন কমিশন।
প্রিজাইডিং অফিসার ঢাকা সিটি কলেজ কেন্দ্র নুরুল ইসলাম ডলার বলেন, কোন ভোটার তার ভোট দেয়ার পর সাথে সাথেই উনার আঙ্গুল স্যানিটাইজ করা হবে। আর আমরা যারা কেন্দ্রে থাকবো আমরা সবসময় স্যানিটাইজার, মাস্ক ব্যবহার করবো। এগুলোর মাধ্যমেই আমরা করোনা ঝুঁকি এড়াতে পারবো।
যদিও আঙুলের ছাপ দিয়ে ইভিএমে ভোট দিতে হওয়ায় করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি দেখছে সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, ইভিএমে করোনা ছড়ানোর ঝুঁকি আছে। ইভিএমে অনেক ব্যক্তি কিন্তু একই জায়গায় স্পর্শের মাধ্যমে ভোট দিয়ে থাকে।
করোনাভাইরাস আতঙ্কের মধ্যে ভোটার উপস্থিতির হার অনেক কম হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
/এন এইচ