করোনাদেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম
করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া নারীর মরদেহ নদীতে, দাফনে বাধা দেয়ার অভিযোগ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে!
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: লালমনিরহাটে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া এক নারীর মরদেহ ভাসিয়ে দেয়া হয় তিস্তা নদীতে। ওই নারীর মরদেহ দাফনে বাধা দেয়ায় অভিযোগ ওঠেছে বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। পরে পুলিশের উদ্যোগে মরদেহটি দাফন করা হয়। এদিকে ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতার আনার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন লালমনিরহাটের পুলিশ সুপার।
সোমবার (২৫ মে) পুলিশের উদ্যোগে দাফন সম্পন্ন হয় মৌসুমী আক্তার নামের ওই পোশাক শ্রমিকের। তিনি রাজধানীর একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন এবং দীর্ঘদিন ধরে বুকব্যথা ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। অবস্থার অবনতি হলে গেল শনিবার (২৩ মে) পণ্যবাহী ট্রাকে নিজ গ্রাম লালমনিরহাটের বুড়িমারীতে ফেরার পথেই মৃত্যু হয় তার। পরে তার মরদেহ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন ট্রাকচালক।
করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়ায় নমুনা সংগ্রহ ও ময়না তদন্ত শেষে মরদেহ তার স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেয় পুলিশ। কিন্তু, গ্রামের বাড়িতে মেয়ের লাশ দাফনের জন্য নিলে স্থানীয় বুড়িমারী ইউপি চেয়ারম্যান আবু নেওয়াজ নিশাত, মরদেহ পুড়িয়ে দেয়াসহ পরিবারকে এলাকা ছাড়া করার হুমকি দেন। বাধ্য হয়েই এক মাইক্রোবাস চালককে পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে দাফনের দায়িত্ব দেন নিহতের বাবা। তবে ঐ চালক দাফন না করে মরদেহটি তিস্তা নদীতে ভাসিয়ে দেয় বলে অভিযোগ করেন মৌসুমীর বাবা।
এদিকে গেল শনিবার রাতে আদিতমারীর মহিষখোঁচার তিস্তা নদী থেকে অজ্ঞাত হিসাবে ঐ মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। পরিচয় শনাক্তের পর খবর দেয়া হয় নিহতের পরিবারকে। কিন্তু, ইউপি চেয়ারম্যানের ভয়ে মরদেহ নিতে অপারগতা জানায় পরিবার। পরে থানা চত্বরেই মৌসুমীর জানাজা সম্পন্ন হয় এবং পুলিশের উদ্যোগে দাফন সম্পন্ন হয়।
এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দিয়েছেন লালমনিরহাটের পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা। আর ঘটনাটি তদন্ত করে অভিযুক্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক আবু জাফর। করোনার বিপর্যয়ে অমানবিক না হয়ে সবাইকে সচেতন, সতর্ক থাকার তাগিদ দিয়েছে প্রশাসন।