ব্যাংক-বীমাশিল্প-বানিজ্য

করোনার সময়েও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে রেকর্ড গড়লো বাংলাদেশ

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক:  বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারীর মধ্যেও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে রেকর্ড গড়লো বাংলাদেশ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ এখন ৩৫ দশমিক ০৯ বিলিয়ন ডলার। মাত্র তিন সপ্তাহের ব্যবধানেই যোগ হলো আরো প্রায় ৮৬ কোটি ডলার। সংকটকালীন আমদানি ব্যয় ও ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা বিবেচনায় রিজার্ভ বৃদ্ধিকে খুবই ইতিবাচক বলছেন অর্থনীতিবিদরা।

রপ্তানি আয়, রেমিটেন্স, বিদেশি ঋণ ও অনুদান থেকে পাওয়া অর্থ থেকে আমদানি ব্যয় মেটানোর পর মূলত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হিসেব করা হয়। বুধবার যা দাঁড়িয়েছে ৩৫ দশমিক ০৯ বিলিয়ন ডলারে। টেলিফোনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম জানান, এ সময় তো ইমপোর্টও কম। ইমপোর্টে সেটেলমেন্টটা যে টাকাটা যায়, সেটা তো আমাদের কম যাচ্ছে। আবার অনেক সময় দেখা যায় মার্কেট থেকেও আমরা ডলার কিনি। বিভিন্ন সময় ব্যাংকগুলোতেও লিমিট থাকে। এই লিমিটের অতিরিক্ত যখন আসে, তখন বাংলাদেশ ব্যাংকে স্যারেন্ডার করতে হয়। এই সার্বিক অবস্থা মিলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে।

এর আগে চলতি মাসের দুই তারিখে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ আগের সর্বোচ্চ ৩৩ দশমিক ৬৮ বিলিয়নের রেকর্ড ভেঙ্গে দাঁড়ায় ৩৪ দশমিক ২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার ঋণ ও সহায়তা ছাড়ের অর্থও রিজার্ভ সমৃদ্ধ করেছে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা।

অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ জানান, আমদানি ব্যয় কম হওয়ায়, ভ্রমণের জন্যে ব্যয় কম হওয়ায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে আমাদের বড় রকমের অবস্থান আছে। যেটা আমাদের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করলো।

চলতিবছর করোনা সংকটে অনেকটাই কমেছে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স। তবে ঈদ উপলক্ষে মে মাসে বেশ খানিকটা বেড়ে ছাড়িয়ে যায় দেড় বিলিয়ন ডলার।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close