ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের বিপর্যয় কাটিয়ে আসা ভারতের মন্ত্রিসভায় বড় ধরনের রদবদল আনছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর এই রদবদলে পদ হারালেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন ও প্রতিমন্ত্রী অশ্বিনী চৌবে। এই তালিকায় আছেন কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ গাঙ্গোয়ার ও শিক্ষামন্ত্রী পোখরিয়াল নিশাঙ্কও। সব মিলিয়ে ডজনখানেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী এরই মধ্যে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে।
এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত এপ্রিল ও মে মাসে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা নিয়ে ভারত সরকারের সমালোচনার মধ্যে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী বুধবার পদত্যাগপত্র জমা দিলেন। করোনার ওই ধাক্কার মধ্যে ভারতের স্বাস্থ্য খাতের দুর্বলতার দিকগুলো সামনে আসে। হাসপাতালের শয্যা ও অক্সিজেনের জন্য হাজারো মানুষের হাহাকার বিশ্বের নজর কাড়ে। এ সময় ভারতে এক দিনে শনাক্ত করোনা রোগীর সংখ্যা বিশ্বের কোনো দেশে এক দিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড গড়ে। প্রতিদিন মৃত্যুও হয় তিন-চার হাজার মানুষের।
মাস দুয়েকের বেসামাল পরিস্থিতির পর ভারতে বর্তমানে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু কমেছে। এখন করোনার তৃতীয় ঢেউ ঠেকানো সামনে রেখে পদক্ষেপ নিচ্ছে ভারত সরকার।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ শীর্ষস্থানীয় নেতারা কয়েক সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম পর্যালোচনা করেছেন।
শিক্ষা ও শ্রমমন্ত্রী পদত্যাগপত্রে শারীরিক কারণের কথা উল্লেখ করেছেন। তবে শ্রম মন্ত্রণালয়ের সূত্রের বরাত দিয়ে এনডিটিভি বলছে, মহামারির মধ্যে অভিবাসীদের বিষয়গুলো সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে দুর্বলতা এবং কর্মসংস্থান সংকটের মাশুল দিচ্ছেন মন্ত্রী সন্তোষ গাঙ্গোয়ার। ভারতের সুপ্রিম কোর্টও এ বিষয়ে শ্রম মন্ত্রণালয়ের সমালোচনা করেছেন।