দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম
‘করোনাভাইরাস কিলিং’ কিট আবিষ্কারের দাবী বাংলাদেশী গবেষকদের
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: করোনা প্রতিরোধে ‘কোভিড’ বা ‘করোনাভাইরাস কিলিং’ কিট আবিষ্কার করেছেন বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়ের (শেবাচিম) গবেষকরা। তাদের দাবি, এ কিট ব্যবহারে ৬ সপ্তাহের মধ্যে করোনা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। পাশাপাশি আক্রান্ত ব্যক্তি কোভিড কিট ব্যবহার করলে কোনো সুস্থ ব্যক্তি রোগীর সংস্পর্শে এলেও করোনায় আক্রান্ত হবেন না। মান নিয়ন্ত্রকদের পরীক্ষায় এটি উত্তীর্ণ হলে মানুষের স্বার্থে দ্রুত এর সরকারি অনুমোদন দেয়া উচিত বলে মনে করেন বিশিষ্টজনরা।
শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্ব স্তব্ধ করোনা ভাইরাসের দাপটে। দেশে করোনায় সরকারি হিসেবে হাজার ছাড়িয়েছে মৃতের সংখ্যা। আক্রান্ত হয়েছে ৯০ হাজারের বেশি। এ অবস্থায় গত দুই মাসের গবেষণায় বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. এইচ.এম মাসুম বিল্লাহ তার সহযোগী ডাক্তার উম্মে তাহেরা ইলা এবং বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের জৈব রসায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ডা. রেহানা পারভীন যৌথভাবে করোনা নিয়ন্ত্রণে কোভিড কিট তৈরি করেছেন।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের জৈব রসায়ন ও জৈব প্রযুক্তি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. রেহানা পারভীন বলেন, এই কিটের মাধ্যমে চার থেকে ছয় সপ্তাহের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
আক্রান্ত ব্যক্তি কোভিড কিট ব্যবহার করলে কোনো সুস্থ ব্যক্তি রোগীর সংস্পর্শে গেলেও করোনায় আক্রান্ত হবেন না বলে দাবি কোভিড কিটের প্রধান আবিষ্কারক ডা. এইচ.এম মাসুম বিল্লাহর। তিনি বলেন, কোভিড কিটটি আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে একটি ভেন্টিলেটর মাস্ক ও টিউবে যুক্ত থাকবে। নির্গত নিশ্বাসের জীবাণু এ টিউবে আসা মাত্র ৯৯.৯৯ ভাগের অধিক জীবাণুমুক্ত হয়ে যাবে।
বিষয়টি চিকিৎসকদের মাঝে আশা দেখাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন। তিনি বলেন, এই কিটটি যদি কার্যকরী হয় তাহলে আমাদের ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা কেউ আক্রান্ত হবেন না।
অপরদিকে মান নিয়ন্ত্রকদের পরীক্ষায় এটি উত্তীর্ণ হলে কোভিড কিটের সরকারি অনুমোদন মানুষের স্বার্থে দ্রুত দেয়া উচিত বলে মনে করেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন। তিনি বলেন, এ কিটটি সরকারি পর্যায়ে অতি দ্রুততার সাথে, যথাযথ পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে অনুমোদন দিলে বর্তমান সংকটে করোনা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হবে।
গত ১২ মে অনুমোদনের জন্য কোভিড কিট বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল, বিএমআরসিতে পাঠানো হয়েছে।