দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম
করোনাকালে প্লাজমা থেরাপি নিয়ে চলছে প্রতারণা!
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ দেশে প্লাজমা থেরাপি নিয়ে শুরু হয়েছে এক ধরনের প্রতারণা। অভিযোগ রয়েছে, অনেকেই প্লাজমা দেয়ার কথা বলে টাকা পেয়ে লাপাত্তা হচ্ছেন। অন্যদিকে, প্লাজমা থেরাপির ব্যবহার বাড়লেও এখনো তৈরি হয়নি কোনো নীতিমালা। করোনা মোকাবেলায় জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি বলছে, প্লাজমা থেরাপি নিয়ে এখনো শেষ হয়নি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল। তাই এ থেরাপি প্রয়োগে অনুসরণ করতে হবে সর্বোচ্চ সতর্কতা। আর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, প্লাজমা থেরাপি নিয়ে এখনো মেলেনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন। তাই এখনো তৈরি হয়নি কোনো নীতিমালা।
দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণ থেকে সুস্থ হওয়ার পথে অনেকের ক্ষেত্রেই আশা জাগিয়েছে প্লাজমা থেরাপি। সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠার ১৪ দিন পর সুস্থ হওয়া ব্যক্তির রক্তরস, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির দেহে প্রয়োগ করার এ পদ্ধতিতে মিলেছে রোগ-মুক্তিতে বেশ ইতিবাচক ফলও।
অনেকেই তাই মানবিক সহায়তায় হাত বাড়াচ্ছেন অন্যের দিকে, কেউ কেউ গড়ে তুলেছেন স্বেচ্ছাসেবী প্লাজমা ডোনেশন প্ল্যাটফর্মও। এমন অবস্থার মধ্যে মুদ্রার উল্টো পিঠও কম নয়। প্লাজমা সহায়তা পেতে গিয়ে অনেককে হতে হয়েছে প্রতারণার শিকারও। ভুক্তভোগী একজন বলেন, আমার ভাইয়ের প্লাজমা দরকার হয়েছিল। একজন বলেন উনি দিতে ইচ্ছুক। তিনি বিকাশে দুই হাজার টাকা নিয়েছেন কিন্তু ফোন ধরেননি।
এখনই প্লাজমা থেরাপির গড়পড়তা প্রয়োগে না যাওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। সতর্ক করছেন ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের আগেই এর ব্যাপক ব্যবহার নিয়ে। করোনা মোকাবেলায় জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা নজরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি যে মেথড ফলো করে করা উচিত তা কিন্তু হচ্ছে না। কিন্তু রোগীর উপকার হচ্ছে সেটা আমরাও বুঝছি। একটা ট্রায়াল চলছে। ট্রায়াল শেষ হলেই সুপারিশ যাবে যে, কীভাবে করতে হবে।
বিশ্বের অনেক দেশেই প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ হলেও এখনো কোনো নীতিমালা তৈরি করেনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, যখন এটা স্টাবলিশ চিকিৎসা পদ্ধতি হবে তখনই গাইড লাইন দেয়া হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্লাজমা দেয়ার আগে অবশ্যই নিশ্চিত হতে হবে সে ব্যক্তির শরীরে যথেষ্ট অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে কিনা।
/এন এইচ