ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ বাসগুলোতে অতিরিক্ত যাত্রী দাঁড়িয়ে বা ছাদে যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে দেখা যায় হর-হামেশাই। এখন থেকে তেমনি বিমানেও দাঁড়িয়ে যাওয়া যাবে। এবার বাসের মত বিমানেও চালু হতে যাচ্ছে কম খরচে দাঁড়িয়ে যাত্রী নেয়ার সার্ভিস। খুব সস্তায় বিমানে যেতে চাইলে এবার দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই আকাশপথে ভ্রমণ করা যাবে? পেরোতে পারবে সাতসমুদ্র? বিমানেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়েই যেতে হবে? কম ভাড়ায় যাত্রীদের দাঁড়িয়ে বিমান ভ্রমণের সেই ব্যবস্থাই আসছে।
এমন সম্ভাবনা জোরালো হয়ে উঠেছে জার্মানির হামবুর্গে আয়োজিত একটি এক্সপোতে। বিমানের অন্দরসজ্জা প্রস্তুতকারী বেশ কিছু কোম্পানি নতুন নতুন উদ্ভাবন নিয়ে হাজির হয়েছিল হামবুর্গের সেই এক্সপোয়। সেখানেই একটি কোম্পানি দেখিয়েছে বিমানে দাঁড়িয়ে যাওয়ার সিট। যার নাম দেয়া হয়েছে, ‘স্কাইরাইডার ৩.০।’
এই কোম্পানির দাবি, এটাই বিমানের নতুন ধরনের সিটের তৃতীয় ও সর্বাধুনিক সংস্করণ। যারা ‘আল্ট্রা বেসিক ইকোনমি’ বা খুব সস্তায় বিমান ভ্রমণ করতে চান, গায়ে লাগে না এমন ভাড়া দিতে চান, বিমানে তাদের জন্য এবার চালু হতে পারে এই নতুন ধরনের সিট।
যদিও সেই সিট নিয়ে ইতোমধ্যে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনেকের অভিযোগ, ওই ধরনের সিটে বিমানে যাত্রীদের জন্য কম জায়গা ছাড়তে হবে বলে আরও বেশি যাত্রী পরিবহন করা যাবে।
কেউ কেউ বলছেন, ‘এবার জন্তু-জানোয়ারের মতো বিমানে যেতে হবে, সস্তায় আকাশে উড়তে চাইলে।’
তবে এসব অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন এই ধরনের সিট প্রস্তুতকারী সংস্থা ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাডভাইজার গ্যায়তানো পেরুগিনি। তার কথায়, ‘আমরা হাজার হাজার যাত্রীকে কেবিনে পুরতে চাই না। বিমানে আমরা বিভিন্ন ধরনের ক্লাসের ব্যবস্থা রাখতে চাই। ভাড়া অনুযায়ী। যা এখনকার বিমানগুলোতে সম্ভব নয়।’
তিনি বলেন, ‘একই কেবিনে থাকবেন সব যাত্রী। যারা স্ট্যান্ডার্ড ইকোনমি বা প্রিমিয়াম ইকোনমি ক্লাসে উড়বেন, তারাও যেমন থাকবেন; সেই কেবিনে, তেমনই থাকবেন বিজনেস বা আল্ট্রা-বেসিক ইকোনমি ক্লাসে যাওয়া যাত্রীরা। এটাই স্কাইরাইডার সিটের বিশেষত্ব।’