ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ আজকাল অনেকেই কব্জিতে ব্যথা নিয়ে ডাক্তারের শরণাপন্ন হন। বৃদ্ধাঙ্গুলি ও তর্জনীতে বেশি ব্যথা অনুভূত হয়। কখনো বৃদ্ধাঙ্গুলের পাশ দিয়ে ওপরের দিকে ব্যথা হয়। রাতে হাত অবশ হয়ে আসে। অস্থিরতায় ঘুম ভেঙে যায়।
কব্জির বা বৃদ্ধাঙ্গুলির ব্যথা অনেক কারণে হতে পারে, ডিকোয়ারভ্যান টেনো-সাইনোভাইটিস এর মধ্যে অন্যতম। আমাদের কব্জি থেকে বৃদ্ধাঙ্গুলির দিকে যে টেনডন থাকে এই টেনডনে যখন প্রদাহ হয় তখন একে ডিকোয়ারভান টেনো-সাইনোভাইটিস বলে। সাধারণত মধ্যবয়সী মহিলারা এ সমস্যায় বেশি আক্রান্ত হন। এ সমস্যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। যেমন-
১. আঘাতের কারণে
২. হাত দিয়ে ভারী কিছু ওঠানোর ফলে
৩. রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের কারণে
৪. একটানা লেখালেখি করলে
৫. দা, কোদাল বা কুড়াল দিয়ে কাটাকাটি করলে
৬. ড্রিল মেশিন ব্যবহার করলে
লক্ষণ
১. এতে আক্রান্ত ব্যক্তি হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল নাড়াতে পারে না
২. কাপড়-চোপড় চিপতে ব্যথা পায়
৩. হাত দিয়ে ভারী কিছু ওঠাতে পারে না
৪. বৃদ্ধাঙ্গুলের গোড়ায় মাংসপেশি অনেক সময় শুকিয়ে যায়
৫. আঙুল বেশ দুর্বল হয়ে পড়ে এবং কাজ করলে ব্যথা বাড়ে
৬. ব্যথা অনেক সময় কব্জি থেকে ওপরের দিকে উঠতে থাকে
রোগ নির্ণয়
সাধারণত একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ক্লিনিক্যালি এ রোগটি নির্ণয় করতে পারেন। তবুও কিছু কিছু ক্ষেত্রে কব্জির এক্স-রে ও রক্তের কিছু পরীক্ষার প্রয়োজন পড়ে।
চিকিৎসা
এ ক্ষেত্রে ওষুধের পাশাপাশি ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা বেশি জরুরি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ইনজেকশন দেয়ারও প্রয়োজন পড়ে।
সতর্কতা
এ সময় পর্যাপ্ত বিশ্রাম গ্রহণ করতে হবে। কব্জির ওপর চাপ পড়ে এমন কাজ পরিহার করতে হবে। পাশাপাশি কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। যেমন-
১. হাত দিয়ে ভারী কিছু ওঠাবেন না
২. কাপড়-চোপড় চিপবেন না
৩. টিউবওয়েল চাপবেন না
৪. একটানা বেশিক্ষণ লেখালেখি করবেন না
৫. দা, কোদাল বা কুড়াল দিয়ে কাটাকাটি করবেন না
৬. ড্রিল মেশিন ব্যবহার করবেন না
৭. কাজের সময় রিস্ট-ব্যান্ড ব্যবহার করবেন
সঠিক চিকিৎসা নিন ও সতর্কতা মেনে চলুন। সুস্থ-স্বাভাবিক জীবন যাপন করুন।
/আরএইচ