স্বাস্থ্য

কফের রং দেখেই জানতে পারবেন রোগ সম্পর্কে

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: সর্দি-কাশিতে অসুস্থ হলে আমাদের বুকে কফ জমে। কফ মানবদেহের বুকে তৈরি এক ধরনের পিচ্ছিল পদার্থ। অনেক সময় কফ বিভিন্ন রঙের হয়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কফের রং দেখেই নাকি শরীরের হাল-হকিকত জানা যায়। তাহলে চলুন তা জানি:

সবুজ ও হলুদ কফ

ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হলে সাধারত কফের রং গাঢ় হলুদ হয়ে যায়। বিশেষ করে সাইনাসের সমস্যা বাড়লে সাধারণত এমন হয়ে থাকে। রং আসে শ্বেত রক্তকণিকা থেকে। প্রথমে আপনি হলুদ কফ লক্ষ্য করতে পারেন, যা পরে সবুজ হয়ে যায়। সম্ভাব্য অসুস্থতার তীব্রতা এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন ঘটে। তাই কফের রং এমন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। নিচের কারণগুলোর জন্য এমন কফ হতে পারে:

* ব্রংকাইটিস

* নিউমোনিয়া

* সাইনোসাইটিস

* সিস্টিক ফাইব্রোসিস

বাদামি

বাদামি রঙের ক্ষেত্রে সাধারণত পুরোনো রক্ত বলা হয়। কফ লাল বা গোলাপি হলে এই রং ধারণ করে। অতিরিক্ত ধূমপানে কফের রং বাদামি হতে পারে। কফ জমে থাকলে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। যে কারণে হতে পারে:

* ব্যাকটেরিয়াল নিউমোনিয়া

* ব্যাকটেরিয়াল ব্রংকাইটিস

* সিস্টিক ফাইব্রোসিস

* নিউমোকোনিওসিস

* ফুসফুসের ফোঁড়া বা পুঁজ হলে

পানির মতো সাদা কফ

আপনার শরীর প্রতিদিন পরিষ্কার শ্লেষ্মা বা কফ উৎপন্ন করে। এই কফ বেশির ভাগই পানি, প্রোটিন, অ্যান্টিবডি এবং কিছু দ্রবীভূত লবণে ভরা থাকে। যা আপনার শ্বাসযন্ত্রের পদ্ধতিকে ভেজা এবং ময়েশ্চারাইজ করতে সহায়তা করে। এ ধরনের পরিষ্কার কফ বাড়ার অর্থ হতে পারে, ভাইরাস বা অ্যালার্জি।

সাদা ঘন কফ

থকথকে একটু বেশি সাদা কফ বিভিন্ন কারণে হতে পারে। এটা হলো আপনার নাকের কোষগুলো সংক্রমণজনিত কারণে ফুলে গেছে। ফলে আগের মতো স্বাভাবিকভাবে কফ বাইরে আসতে পারছে না। পর্যাপ্ত আর্দ্রতা না পাওয়াতে এমন হচ্ছে। ব্রংকাইটিস, সাইনাস, অনেক দিন ধরে হজমের সমস্যা হলে এমন হতে পারে। অনেক সময় হার্ট ঠিকমতো কাজ না করলেও এমন হতে পারে।

কালো

যদি কফের রং হালকা কালো হয়, তাহলে বুঝতে হবে আপনি দূষিত পরিবেশে বসবাস করছেন। এছাড়া মিউকারমাইকোসিস নামক রোগের ক্ষেত্রে কফের রং কালচে হয়। মিউকারমাইকোসিস খুব বিরল ধরনের ছত্রাকজনিত সংক্রমণ।

গোলাপি কফ

গোলাপি কফকে লাল রঙের আরেকটি রং হিসেবে বিবেচনা করা হয়। হতে পারে আপনার কফের মধ্যে রক্ত আছে। আবার হতে পারে, ফুসফুসে এক ধরনের তরল জমা হয়েছে। চিকিৎসা পরিভাষায় যার নাম ‘এডিমা’। দীর্ঘদিন ধরে বুকে কফ বসে থাকার কারণে সংক্রমণ হয়। তাই এমন কিছু হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

/এএস

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close