ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ কর্পোরেট দুনিয়ায় জনপ্রিয় একটি পানীয় কফি। অফিসে কাজের চাপে যখন মাথা আর কাজ করেনা তখন এক কাপ কফি হলে মন্দ হয় না। শরীরে চাঙ্গা ভাবটা ফিরে আসে। আর এবার এক ঝলকে জেনে নিন কফি সম্পর্কে কিছু তথ্য-
কফি একটি ফল। আমরা যে কফি পান করি, তা কফি বীজ বা বিন; এই বিন গুঁড়ো করেই তৈরি হয় কফি।এটিই তার আসল উপাদান। ১৫৯৮ খ্রিস্টাব্দে ডাচ koffie শব্দের মাধ্যমে coffee শব্দটি ইংরেজি ভাষায় গৃহীত হয়। এই ডাচ শব্দটি আবার তুর্কি শব্দ kahve থেকে উদ্ভূত; তুর্কি শব্দটি আরবি qahwa শব্দেরই উচ্চারণ ভেদ। এই শব্দান্তরের ভিতরেই যেন লুকিয়ে রয়েছে কফির বিস্ময়কর ইতিহাস।
কফি গাছ সাধারনত উচ্চতায় ২০ থেকে ৩০ ফুট হয় । উজ্জ্বল সবুজ রঙের পাতার আকার হয় ডিম্বাকৃতি, ফুলের রং সাদা আর বেশ সুগন্ধী । থোকা – থোকা ফল ধরে, প্রথমে রং হয় হালকা সবুজ, পরে লাল এবং শেষে ঘন ক্রিমসন রং (নীচে কফি বিনের ছবি দেখুন)। ফলের ভিতরে মিষ্টি শাঁসে মুড়নো দুটি বিন (বীজ ) থাকে। অনেক ধরনের কফি গাছ হতে পারে এর মধ্যে পূর্ব আফ্রিকার ইথিওপিয়ার কফিয়া আরাবিকাই স্বাদে ও গন্ধে অতুলনীয়।
আরো কিছু মজার তথ্য:
১. কফি হচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বাজারজাত পণ্য। যেখানে প্রথমস্থানে আছে পেট্রোলিয়াম।
২. প্রতিবছর মার্কিনীরা ১১০ বিলিয়ন কাপ কফি পান করে থাকে
৩. দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকায় বিশ্বের চাহিদার দুই/তৃতীয়াংশ কফি উৎপাদিত হয়। অথচ, কফির উদ্ভব হয়েছিল পূর্ব আফ্রিকায়।
৪. কফি খেলে হৃদপিণ্ডের গতি বাড়ে, শরীরে উদ্যম ও উৎসাহ তৈরি করে।
৫.ক্যাফেইন যুক্ত বা বিহীন, যে কোনো ধরনের কফি ডায়াবেটিস রোগের ঝুঁকি কমায়। সেই সঙ্গে ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমায় কফি।