দেশজুড়ে
কঠিন বর্জ্য ও পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হবে’
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: রেলপথ, নৌপথ ও সড়কপথের কঠিন বর্জ্য ও পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
২৬ জুন বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর আয়োজিত ‘বাংলাদেশের রেলপথ, নৌপথ ও সড়কপথে কঠিন বর্জ্য ও পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা’ বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘মানসম্মত মধ্যম আয়ের দেশের জন্য আগামীতে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে মানব বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। পরিচ্ছন্ন ও নির্মল পরিবেশের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হচ্ছে উন্নত স্যানিটেশন ব্যবস্থা।’
তিনি বলেন, ‘একটি দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে সে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই যোগাযোগ মাধ্যমসমূহে সঠিক স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ ও প্রয়োজনীয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সন্নিবেশ ঘটানো এই উন্নয়নের যাত্রাকেই আরও বেগবান করবে।’
পরিবহন মাধ্যমের নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ ও নীতি নির্ধারকদের এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণে আন্তরিক হলেই অবস্থার পরিবর্তন সম্ভব বলেও জানান মন্ত্রী।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইফুর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।
এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশের বেসিক স্যানিটেশন কভারেজ প্রায় শতভাগ। উন্মুক্ত স্থানে মল ত্যাগের হার শতকরা মাত্র ১ ভাগ। স্যানিটেশনের এই সাফল্য পর্যালোচনাপূর্বক প্রকৃত অর্থে স্যানিটেশন অর্জিত হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করার বিষয়টি ভুলে গেলে চলবে না।’
তিনি বলেন, ‘রেলপথ, নৌপথ ও সড়কপথের কঠিন ও পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন বেশ দুরুহ কাজ। বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশগুলোতে যাতায়াত ব্যবস্থার স্যানিটেশনকে যদি অনুসরন করা সম্ভব হয়, তাহলে আমরা অনেকটা অগ্রগামী হতে পারবো।’
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘মন্ত্রণালয় এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করে রেলপথ, পানিপথ (নৌপথ) ও সড়ক পথে স্যানিটেশন সরকারের নীতিমালা প্রস্তুতকরণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে।’
কর্মশালায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা তাদের গবেষণালব্ধ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। কর্মশালায় জনস্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট পেশাজীবী, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।