বিশ্বজুড়ে
ওমিক্রন নিয়ে এবার ‘সুসংবাদ’ দিলেন গবেষকরা
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: করোনার ওমিক্রন ধরন শনাক্ত নিয়ে যুক্তরাজ্যে প্রকাশিত দুটি গবেষণায় বলা হয়েছে, ওমিক্রন সংক্রমনের প্রভাব ডেল্টার চেয়ে খুব একটা গুরুতর হবে না। হাসপাতালেও ভর্তি হতে হবে কম হারে।
স্কটল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের দুটি প্রাথমিক গবেষণার সূত্র ধরে বিশেষজ্ঞরা ওমিক্রন নিয়ে উদ্বিগ্ন নন। তাদের মতে, এই ধরন খুব একটা সুবিধা করতে পারবে না।
বুধবার (২২ ডিসেম্বর) গবেষণাপত্র দুটি যুক্তরাজ্য থেকে প্রকাশিত হয়েছে। খবর এনডিটিভির।
স্কটিশ রিসার্সের গবেষক জিম ম্যাকমেনামিন বলেন, ওমিক্রনের সংক্রমনের হার দ্রুত বাড়তে থাকলেও হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হবে কম হারে। স্কটিশ গবেষণাটিতে নভেম্বর ও ডিসেম্বরের ওমিক্রন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে।
গবেষণায় বলা হয়েছে, ডেল্টা ধরনের চেয়ে ওমিক্রনের ঝুঁকি তুলনামূলক কম। টিকার বুস্টার ডোজ ওমিক্রন থেকে বাড়তি সুরক্ষা দিতে পারে। গবেষণা অনুযায়ী, ওমিক্রন আক্রান্ত ৬০ বছরের নিচে কাউকে হাসপাতালে ভর্তি হতে দেখা যায়নি।
অন্যদিকে যুক্তরাজ্যের গবেষণাপত্র অনুযায়ী, ডেল্টার চেয়ে ওমিক্রনে হাসপাতালে ভর্তি ২০ থেকে ২৫ শতাংশ কমেছে।
এর আগে ওমিক্রনের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ ৮০ শতাংশের বেশি কার্যকরী বলে দাবি করেছিলেন যুক্তরাজ্যের একদল গবেষক। অন্যান্য ভ্যাকসিনের তুলনায়, বুস্টার ডোজ ওমিক্রনে আক্রান্ত গুরুতর অসুস্থ্য ব্যক্তিকে প্রায় ৮৫ শতাংশ সারিয়ে তুলতে সক্ষম বলেও জানিয়েছিলেন গবেষকরা।
এদিকে যুক্তরাজ্যে করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে এ যাবৎকালে সবশেষ একদিনে সর্বোচ্চ এক লাখের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। প্রায় দুই বছর আগে করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত কখনো যুক্তরাজ্যে এক দিনে এত রোগী শনাক্ত হয়নি।
সংকট মোকাবিলায় সবাইকে টিকার বুস্টার ডোজ নিতে আহ্বান জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। দেশটিতে এর মধ্যেই ৩০ লাখের বেশি মানুষ বুস্টার ডোজ নিয়েছেন। তবে আরো বেশি সংখ্যক মানুষকে বুস্টার ডোজের আওতায় আনতে জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ব্রিটিশ সরকার। বড়দিন ঘিরে ওমিক্রন তার সর্বোচ্চ ভয়াবহ রূপ দেখাবে বলে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করলেও কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের বিপক্ষে বরিস জনসন।