আশুলিয়াপ্রধান শিরোনামস্থানীয় সংবাদ
এ যুগ পর সড়কের ভোগান্তির অবসান হবে !
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাভারের ইপিজেড সংলগ্ন ভাদাইল সড়কটির দৈর্ঘ্য প্রায় আড়াই কিলোমিটারের গুরুত্বপূর্ণ সড়কটির বেহাল দশা ১২ বছর ধরে। নানা ভোগান্তি-অভিযোগ জানিয়েও মিলেনি প্রতিকার। তবে আশার কথা, নতুন সড়ক নির্মাণে দরপত্র পাস হয়ে ঠিকাদার নিয়োগ হয়েছে।
ঘুরে দেখা যায়, শিল্পনগর আশুলিয়ার ভাদাইল সড়ক প্রায় ২০ ফুট প্রস্থ। সড়কটির বেশিরভাগ স্থানে পানি জমে আছে। বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ ও ভাঙাচোড়া। রিকশা বা মোটরসাইকেলে যাতায়াত করলেও ময়লা পানি শরীরে ছিটকে পড়ছে। অনেকে হেঁটে চরম দুর্ভোগ নিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা সাগর আহমেদ বলেন, এর আগে সড়কটির কাজ করা হয়েছে। তবে আমাদের এলাকার প্রধান সমস্যা হলো নিষ্কাশন ব্যবস্থা। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বার বার সড়কটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘ প্রায় এক যুগ ধরে এমন ভোগান্তির মধ্যে আমরা চলাচল করছি।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) সাভার উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ডিইপিজেড-ভাদাইল সড়কটি প্রায় আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ। দুই বছর আগে ভাদাইল মোড় থেকে পাবনার টেকের অংশ কাজ করেছে। তবে পরের অংশ ভাদাইল মোড় থেকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের মুখ পর্যন্ত কাজটি বাকি ছিল। বাকি অংশটুকুর দৈর্ঘ্য প্রায় এক হাজার ২০০ মিটার ও প্রস্থ পাঁচ দশমিক পাঁচ মিটার। ধামসোনা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের আবেদনের ভিত্তিতে সড়কের কাজের প্রক্রিয়া শুরু হয়। তবে ইউপির পক্ষ থেকে ড্রেন লাইন নির্মাণ করা হবে। ইতিমধ্যে এলজিইডি থেকে টেন্ডার হয়েছে ও ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে। এ মাসের শেষের দিকে বা আগামী মাসের (জুন) শুরুর দিকে সড়কটির কাজ শুরু হবে। প্রায় দেড় কোটি টাকা বরাদ্দে সড়কটি করা হচ্ছে।
ধামসোনা ইউপি সূত্রে জানা যায, সর্বশেষ দুই বছর আগে ইউপির পক্ষ থেকে প্রায় ২৯ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়কটির সংস্কার কাজ করা হয়েছিল। বাজেট স্বল্পতার কারণে এতো বড় সড়কের কাজ করা পরিষদের জন্য সম্ভব হয়নি। তবে বিভিন্ন সময়ে পরিষদের পক্ষ থেকে সড়কটিতে সংস্কার কাজ করা হয়। মূলত এই এলাকায় আবাসিক এলাকার পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় সড়কে পানি জমে থাকে। বার বার সংস্কার করলেও পানি জমে সড়ক নষ্ট হয়ে যায়। তবে এলজিইডি সড়কের কাজ দ্রুত শুরু করবে। পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দ থেকে করা হবে।
এ বিষয়ে সাভার উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী সালেহ হাসান প্রামানিক বলেন, সড়কটি এলজিইডির অধীনে। দুই বছর আগে সড়কটির একটি অংশে কাজ করা হয়েছে। মাঝখানে করোনার দুই বছর কোনো ধরনের প্রকল্প পাস হয়নি। প্রস্তাবনা আগেই দেওয়া ছিল। তবে এখন মহাসড়ক থেকে ভাদাইল মোড় পর্যন্ত এক হাজার ২০০ মিটার আরসিসি সড়ক করা হবে। টেন্ডার পাস হয়ে গত ১০ মে ওয়ার্ক অর্ডার হাতে পেয়েছি। আমরা দ্রুতই ঠিকাদারকে সড়ক বুঝিয়ে দেব। আশা করি এ মাসের শেষের দিকে বা জুন মাসের শুরুতেই কাজ শুরু হবে।