চাকুরী
এয়ারলাইন্সগুলোতে কর্মী ছাঁটাইয়ের ঝড়
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: করোনা মহামারির কারণে বিশ্বের পর্যটনসহ প্রয়োজনীয় কাজে বিমানে যাত্রী পরিবহন বন্ধ থাকায় হাজার হাজার কর্মী ছাঁটাই করতে যাচ্ছে ইউরোপ ও এশিয়ার এয়ারলাইন্সগুলো।
প্রণোদনা পাওয়ায় ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কর্মী ছাঁটাই কার্যক্রম স্থগিত রেখে যুক্তরাষ্ট্রের এয়ারলাইন্সগুলো। এদিকে, জাতিসংঘের বিশ্ব পর্যটন বিষয়ক সংস্থা বলছে, চলতি বছর আন্তর্জাতিক পর্যটন কমতে পারে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত।
করোনা সংক্রমণের কারণে লকডাউনে বিপর্যস্ত বিশ্ব অর্থনীতি। ধস নেমেছে আন্তঃদেশীয় থেকে আন্তর্জাতিক যোগাযোগ ব্যবস্থায়। প্রায় ৩ মাস ধরে বন্ধ যাত্রীবাহী বিমান চলাচল। লকডাউন কিছু দেশে শিথিল হতে শুরু করলেও এ ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া সম্ভব নয় বলে মনে করেন বিভিন্ন দেশের এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ।
এজন্য তারা ছাঁটাই করছেন হাজার হাজার কর্মী। ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ প্রায় ১০ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা করছে। ৩২ হাজার কর্মী ছাঁটাই করতে পারে আইরিশ রায়ান এয়ার, জার্মানির লুফথানসা, ফ্রান্সের এয়ারফ্রান্স।
ইউরোপের বৃহত্তম এয়ারলাইন্স লুফথানসা এরইমধ্যে সরকারের সাথে ৯শ’ কোটি ইউরো প্রণোদনার চুক্তি করেছে। এরপরও ছাঁটাই করা হবে ১৮ হাজার কর্মী। ভার্জিন আটলান্টিক ছাঁটাই করবে ৩ হাজার কর্মী। ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে এয়ারপোর্ট থেকে মূল্যছাড় প্রত্যাশা করছেন কিছু ইউরোপীয় এয়ারলাইন্স। তবে টিকে থাকার লড়াইয়ে রাশিয়ার এভিয়েশন খাত পাচ্ছে পর্যাপ্ত সরকারি সহায়তা।
এদিকে, মহামারিতে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯৬ শতাংশ কমেছে যাত্রীবাহী বিমান চলাচল। তবে সরকারের পক্ষ থেকে ২ হাজার ৫শ’ কোটি ডলারের প্রণোদনা পাওয়ায় ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কর্মী ছাঁটাই করতে পারবে না মার্কিন কোনো এয়ারলাইন্স। তাই অক্টোবরে ৩০ শতাংশ কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা করেছে ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স। সংখ্যায় যা ১২ হাজার ২শ’ ৫০। ৩০ শতাংশ বা ৫ হাজার কর্মী ছাঁটাই করবে আমেরিকান এয়ারলাইন্স।
১শ’ ৭০ টি দেশে বিমান পরিচালনাকারী কাতার এয়ারওয়েজও কর্মী ছাঁটাই পরিকল্পনা করছে। কর্মী ছাঁটাই করবে এয়ার এশিয়া।
ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট এসোসিয়েশন বলছে, ২০২৩ সালের আগে স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফিরবে না বিশ্বের এভিয়েশন খাত। কোভিড নাইনটিন লকডাউনে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এ খাতের লোকসানের পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ৩১ হাজার ৪শ’ কোটি ডলার।
চলতি বছর ৭০ শতাংশ কমতে পারে আন্তর্জাতিক ভ্রমণ। যা ১৯৫০ সালের পর সর্বনিম্ন। এমনই আশঙ্কা করছে জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড ট্যুরিজম অর্গানাইজেশন। ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে এ খাতের সাথে সংশ্লিষ্ট ১১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান।
বিশ্ব ভ্রমণ ও পর্যটন কাউন্সিল বলছে, পর্যটন খাতের সাথে সংশ্লিষ্ট বিশ্বের মোট জিডিপি’র ১০ শতাংশ, এ খাতের সাথে সংশ্লিষ্ট ৩৩ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান।