দেশজুড়ে
এমপি আনারের লাশের খোঁজ পেয়ে কলকাতার পথে ডিবির প্রতিনিধি দল
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: এমপি আজিম আনার হত্যার তদন্ত চলছে ভারত ও বাংলাদেশে। ওই হত্যাকাণ্ডে দুই দেশের পুলিশের সমন্বয়ে তদন্তের এখন পর্যন্ত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় মরদেহের অনুসন্ধান করা। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন— এমপি আনারের মরদেহ পাওয়া না গেলে জড়িতদের শাস্তিসহ মামলার ভবিষ্যৎ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হতে পারে।
এদিকে মরদেহের খোঁজ পেতে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে খাল-বিল চষে ফেলছে পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো কিনারা করতে পারেনি। তবে ঢাকায় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, তারা জানতে পেরেছে এমপির খণ্ডিত মরদেহের কিছু অংশ কোথায় থাকতে পারে।
লাস উদ্ধার ও তদন্তের জন্য ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে কলকাতা যাচ্ছে তিন সদস্যের একটি টিম। আজ সকালে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হন তারা।
আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাটি জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের অন্যতম হোতা আমানউল্লাহ রিমান্ডে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য দিয়েছেন। তিনি স্বীকার করেছেন, নিজ হাতেই পলিথিনে ভরা মরদেহের একাংশ ফেলেছেন।
ডিবির পক্ষ থেকে একটি দল কলকাতায় গিয়ে মরদেহের সেই অংশ উদ্ধার করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে এখনও কিছু জানানো হয়নি পশ্চিমবঙ্গ পুলিশকে। এদিকে সংশয় দেখা দিয়েছে— মরদেহের ওই অংশ দ্রুত উদ্ধার না করলে পাওয়া নাও যেতে পারে। কেননা, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ গতকাল শনিবারই বলেছে, মরদেহ ৮০ টুকরো করে বিভিন্ন স্থানে খালে-বিলে ফেলা হয়েছে এবং সেগুলো হয়তো এত দিনে জলজ প্রাণিরা খেয়ে ফেলেছে।
তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, এমপির মরদেহ গুম করার জন্য টুকরো টুকরো করা হয়েছিল। সে জন্য শরীরে চামড়া ছাড়িয়ে দা দিয়ে কেটে সেগুলো কয়েকটি ব্যাগে ভাগ করে কয়েক হাত বদলে ফেলে দেওয়া হয়। তবে মরদেহের অংশবিশেষের একটি পলিথিন কোথায় ফেলা হয়েছে, তা জানেন আমানউল্লাহ। তিনি নিজের হাতেই সেটা ফেলেছেন। আর সেটা খুঁজে পাওয়াও সম্ভব বলে মনে করছেন তিনি।
আমানউল্লাহর কাছ থেকে সেই স্থানের অবস্থান জেনে ঘটনাস্থলে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন ডিবি পুলিশের তদন্তসংশ্লিষ্ট তিন সদস্যের একটি দল। কর্মকর্তারা বলছেন— মরদেহের ওই অংশ পেলে তদন্তে বড় অগ্রগতি হবে। ডিবিপ্রধান পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদও গতকাল বলেছিলেন, ‘ভারতীয় পুলিশও এই হত্যার তদন্ত করছে। আজ-কালের মধ্যে আমিসহ ডিবির তিনজন কর্মকর্তা তদন্তের কাজে ভারতে যাব।’